তারেক জিয়াকে নিয়ে ডা,জাফরউল্লাহ চৌধুরীর সাম্প্রতিক মন্তব্য বি এন পি’তে এখন তোলপার হচ্ছে। একদল বলছে জাফরউল্লাহর বক্তব্য সঠিক অন্যদল বলছে জাফরুল্লাহ চৌধুরী বি এন পি’র কে! আসলেই জাফরউল্লাহ চৌধুরী বি এন পি’র কেউনা। কিন্তু সব সময়ই বি এন পি এই বুড়ুকে ধরে রেখেছে। দলের গুরুত্বপুর্ন সভাতেও আমন্ত্রন পান তিনি। রাজনীতির কৌশল সর্বকালেই অভিন্ন। চলমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে কৌশল বদল করতে হয়। বি এন পি কৌশলে ব্যর্থ হয়ে এখন জনবিচ্ছিন্ন। বেগম খালেদা জিয়া অর্থ আত্নসাধের মামলায় অভিযুক্ত হয়ে বন্দি (শর্ত স্বাপেক্ষে এখন জামিনে) তারেক জিয়া পুলিশের খাতায় পলাতক আসামি। দুই শির্ষ নেতার দুর্দশা থেকে দলকে মুক্ত করা না গেলে আগামি নির্বাচনেও বি এন পি’র ভরাডুবি হবে নিশ্চিত।

ডা: জাফরউল্লাহ রাজনৈতিক নেতা নন। বরাবরই সুবিধাবাদি। বর্তমান সরকারের আমলে তেমন কোন সুবিধা নিতে পারেননি। তাই তিনি শেখ হাসিনা বিরোধী। তবে বি এন পি’কে যে পরামর্শটি তিনি দিয়েছেন তা সঠিক। তারেক জিয়া এখন দলের বোঝা। অপরিপক্ক নেতা ক্ষমতা পেলে কি করে তারেক তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। রাজনীতি থেকে অর্থ পেয়ে তারেক এখন বেপরোয়া। সম্প্রতি তিন মিলিয়ন পাউন্ড জুয়া খেলে হেরেছে এমন সংবাদ গনমাধ্যমেই এসেছে। লন্ডনে তার রাজকীয় বসবাসের অর্থ যোগান দেয় দলের নেতা কর্মীরা। উপজেলা সংগঠনের কমিটি গঠনেও তারেক সম্মতি দেয়না টাকা ছাড়া। এমন সহজ বানিজ্যের লোভে তারেক এখন কাউকেই মানতে চায়না। এমন ব্যক্তি দেশের সরকার প্রধান হলে দেশের অবস্থাটি কি হবে ভাবা যায়না।

বি এন পি সরকারের আমলেই তারেকের উত্থান।এখনো হাওয়া ভবনের কেচ্ছাকাহিনী মানূষের মূখেমূখে। কম বিদ্যাতে রাজনীতি করা অন্যায় নয়। অনেকে বড় নেতাও হয়েছেন। কিন্তু তারেক জিয়া রাজনীতি করেনি। ১০ ট্রাক আস্র মামলা, ২১ আগষ্টের হত্যাকান্ডের মূল আসামি তারেক জিয়া। খাম্বা, কমশন বানিজ্য আর সিনিয়র নেতাদের সাথে অসৌজন্য মূলক আচরনে খ্যতি ছড়িয়েছে তার। সেই তারেক এখন নেতাদের রাজিনীতি শেখাচ্ছে লন্ডনে বসে। রাজকীয় পোষাকে মঞ্চে গিয়ে বক্তব্য দিচ্ছে জাতীর পিতার বিরুদ্ধে। তারেকের বক্তব্য শুনে বি এন পি’র নেতা কর্মীরাই এখন ক্ষুদ্ধ। তারেকের কারনে বি এন পি ডুবেছে এবং তারেকের কারনেই দল ক্ষমতায় যাওয়ার সম্ভাবনা নেই। চতুর কর্মীরা অনেকেই সটকে পরেছে আবার অনেকে পথ খুঁজছে। আরেকবার নির্বাচনে ভরাডুবি হলে দলের লোকেরাই তারেককে নিষিদ্ধ ঘোষনা করবে। যারা এখন দলের সিনিয়র নেতা তারা মূখে না বললেও ক্ষুদ্ধ হয়ে উঠেছে তারেকের উপর। দলকে না গুছিয়ে তারেকের খরচ মিটাতে হচ্ছে নেতাদের। ইতিমধ্যে জামাত তারেককে গ্রাস করে ফেলেছে। অর্থ লোভি তারেক প্রচুর অর্থ পাচ্ছে জামাতের কাছ থেকে। নেতারা (অনেকে) চাইলেও সঙ্গত কারনেই তারেক জামাতকে ছাড়তে পারবেনা। এমন একজন অর্থলোভি নেতাকে দলের শির্ষ পদে রেখে বি এন পি’র শুধু ক্ষতিই হবে। ডা, জাফরউল্লাহ মোটেও ভুল বলেননি। নাহলে বি এন পি রাজনীতিতে থাকলেও অবস্থাটি হবে মুসলীম লীগের মত।

আজিজুর রহমান প্রিন্স,

কলামিস্ট, ঢাকা, বাংলাদেশ।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *