লোহাগাড়া (চট্টগ্রাম) সংবাদদাতাঃ চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার বিভিন্ন ইউনিয়নের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে ডলু ও টংকাবতীসহ ছোট-বড়  বেশ কয়েকটি খাল। উপজেলার ৯ ইউনিয়নের  এ সব খালের তীরবর্তী শত শত মানুষ বর্ষায় ভাঙন আতংকে থাকে।

জানা গেছে, উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের খাল তীরবর্তী ৩৫ গ্রামের প্রায় ২০ হাজার পরিবার বর্ষায় ভাঙন আতংকের কবলে রয়েছে। চলমান বর্ষায় উপজেলার টংকাবতী খালের ভাঙনের কবলে পড়েছে আমিরাবাদ ও পদুয়া ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী এলাকা তেওয়ারি খীল, কলাউজানের  মিয়াজি পাড়া, কুলাল পাড়া ও রসুলাবাদ পাড়া কয়কটি পাড়া এবং উক্ত এলাকার টংকাবতী খাল পাড়ের বাসিন্দারা।

সরজমিনে পরিদর্শন করে দেখা যায়, আমিরাবাদ ও পদুয়া ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী তেওয়ারি খীল এলাকায় একটি রাস্তা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। যার ফলে ঐ রাস্তা দিয়ে চলাচল করা শত শত শিক্ষার্থী ও এলাকার জনগণের চলাচলে বিকল্প রাস্তা ব্যবহার করতে হচ্ছে। কিছু কিছু জায়গায় এলাকাবাসী নিজস্ব খরচে মেরামতের ব্যবস্থা করেছেন।

এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন, এলাকার কিছু বালু খেকো টংকাবতী খাল থেকে সারা বছর অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ফলে খালের ভাঙ্গনে রাস্তা ও মানুষের বসতভিটা নদীগর্ভে চলে যাচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে একদিন পুরো গ্রাম নদীতে বিলীন হয়ে যাবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আমিরাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান আলী আক্কাস জানান, বর্ষা আসার আগেই রাস্তাটি সংস্কার করা হইছিল কিন্তু অতি বৃষ্টির কারণে আবার রাস্তাটি ভেঙে গেছে। বরাদ্দ পেলে আবার সংস্কার করা হবে।

পদুয়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য কাউছার আলম বলেন, অপরিকল্পিত পানি ব্যস্থাপনার কারণে রাস্তাটি ভেঙে গেছে। ইউনিয়ন পরিষদ থেকে বরাদ্দ পেলে সংস্কার করা হবে। উপজেলার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ইউনিয়ন কলাউজান ইউনিয়নে গিয়ে দেখা গেছে এখানেও টংকাবতী খালের ভাঙন কবলে পড়েছে  বহু পরিবার। ইতিমধ্যে চলমান বর্ষায় পূর্ব কলাউজানের মিয়াজি পাড়ার ১৫ টি পরিবার  ভাঙনের শিকার হয়েছেন। খাল গর্ভে বিলীনের মূখে আছে কয়েকটি বাড়ি।ইতিমধ্যে ২-৩ টি বাড়ি খাল গর্ভে বিলীন হয়েছে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মো: আইয়ুব জানান, টংকাবতী খালের তীরবর্তী মিয়াজী পাড়ায় ৫০ টির অধিক ঘর-বাড়ি আছে। বর্ষায় টংকাবতী খালের  পানির তীব্র প্রবাহে উক্ত পাড়ার ঘর-বাড়ি ভাঙনের শিকার হচ্ছে। ইতিমধ্যে কয়েকটি ঘর-বাড়ি খাল গর্ভে বিলীন হয়েছে বলে তিনি জানান।

ইউপি চেয়ারম্যান এম,এ, ওয়াহেদ জানান, বর্ষায় উপজেলার ভেতর দিয়ে প্রবাহিত টংকাবতী খালপাড়ের মানুষ আতংকে থাকে। ইতিমধ্যে টংকাবতী খালের ভাঙনে শিকার হয়েছে আমার ইউনিয়নের মিয়াজী পাড়া, কুলাল পাড়া ও রসুলাবাদ পাড়াসহ কিছু পাড়া  এবং খাল তীরবর্তী বাসিন্দারা। টংকাবতী খালের তীর ভাঙন এবং ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষকে ইতিমধ্যে অনেকবার জানানো হয়েছে বলে তিনি জানান।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *