সিএনবিডি ডেস্কঃ আজ ২৮ অক্টোবর জুডোর প্রতিষ্ঠাতা জাপানের ড. জিগারো কানো’র ১৬১ তম জন্মদিন। তিনি ১৮৬০ সালের এই দিনে জাপানের মিকেজ শহরে (বর্তমানে হিগাশিনাদা -কু, কোবেতে) জন্মগ্রহণ করেন।
প্রাচীনকাল থেকেই মানুষ আত্মরক্ষার জন্য বিভিন্ন কৌশল আবিষ্কার করে আসছে এবং ক্রমেই তা আধুনিক থেকে আধুনিকতর হচ্ছে। খালি হাতে নিজেকে বাঁচানোর একটি অন্যতম কৌশল হচ্ছে জুডো। আর জুডো হলো প্রথম জাপানি মার্শাল আর্ট যা ব্যাপক আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি লাভ করে এবং ১৯৬৪ সালে প্রথম অলিম্পিক খেলায় পরিণত হয়।
জুডো একটি জাপানি শব্দ যার অর্থ Gentle Way। আক্ষরিক অর্থে ‘জুডো’ দুইটি চীন শব্দ থেকে এসেছে। ‘Ju’ শব্দের অর্থ হচ্ছে Gentleness। আর ‘Do’ অর্থ Way। অর্থাৎ JUDO হলো The way of gentleness। ১৮৮২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে জাপানের ইসোজি বুদ্ধিস্ট টেম্পল এ ডঃ জিগারো কানো জুডো শুরু করেন ৯ জন ছাত্র ও ১২ টি তাতামি নিয়ে। জুজুৎসু ও জুডোর মধ্যে তফাৎ হল এই যে জুজুৎসু একটি যুদ্ধ বিদ্যা আর জুডো হচ্ছে জীবনের সুন্দর পথ।
অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষভাগে চীন, জাপান ও পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে জুজুৎসু নামে এক প্রকার অস্ত্রবিহীন যুদ্ধের বিকাশ ঘটে। কালক্রমে জুজুৎসু বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। ডঃ জিগারো কানো জাপানী জুজুৎসু নামক এই প্রাচীন রণবিদ্যাকে পরিবর্তিত, পরিমার্জিত ও সংশোধিত করে জুডো নামক নতুন আর্টটির সৃষ্টি করেন।
জুজুৎসু ছিল মানুষকে আহত করার অত্যন্ত জটিল কৌশলের সমন্বয়। ডঃ জিগারো কানো আধুনিক সমাজ ব্যবস্থার সাথে মিল রেখে নতুন নতুন কৌশলের সমন্বয় ঘটান (শারীরিক ও মানসিক অধ্যাবসায়ের মাধ্যমে) এবং জুজুৎসু হতে জটিল ও জীবননাশক কৌশলগুলো অপসারন করে ১৮৮২সালে সৃষ্টি করেন জুডো এবং একই বছর তিনি টোকিওতে Kodokan জুডো ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করেন।
আর রাশিয়াতে প্রবর্তিত ‘সানবো’ জুডোরই প্রবর্তিত রূপ। কর্ণেল হিরোস রাশিয়াতেই অবস্থানকালে সেখানে এটির প্রচলন ঘটান এবং জনপ্রিয় করে তোলেন। বিগত খেলোয়াড় ও জুডো প্রশিক্ষক মাইদা দক্ষিণ আমেরিকায় অবস্থানকালে সেখানে জুডোর প্রচার ও প্রসার ঘটান।