অলিউর রহমান নয়ন, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে বৈদ্যুতিক শট সার্কিট থেকে সৃষ্ট অগ্নিকান্ডে ১২ টি দোকান, আসবাপত্র, ইলেকট্রনিক্স জিনিসপত্রসহ অন্যান্য মালামাল পুড়ে প্রায় ৪০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি সাধিত হয়েছে।

ঘটনাটি ঘটেছে গত বুধবার (২৮ অক্টোবর) দিবাগত রাত একটার দিকে উপজেলার পাইকেরছড়া ইউনিয়নের কুড়ার পাড় ইট ভাটা সংলগ্ন বাজারে।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, উপজেলার পাইকের ছড়া ইউনিয়নের কুড়ার পাড় এলাকার ইটভাটা বাজারে রাত আনুমানিক একটার দিকে একটি চায়ের দোকান থেকে আগুনের সুত্রপাত হয়। মুহূর্তের মধ্যেই সেই আগুনের লেলিহান শিখা পার্শ্ববর্তী দোকান ঘর গুলোয় ছড়িয়ে পড়ে। পরে এলাকাবাসী আগুন দেখতে পেয়ে নাগেশ্বরী ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে তারা ঘটনাস্হলে পৌঁছনোর আগেই সেখানে থাকা ১২ টি দোকান ঘর ও মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে যায়। পরে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে একটি দোকানের একাংশ রক্ষা করতে সক্ষম হন এবং আগুন নিয়ন্ত্রনে আনেন।

ক্ষতিগ্রস্থ দোকানদার আকতার আলী ও আলমগীর হোসেন বলেন, আমাদের দোকানের ভিতরে থাকা সব মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে আমাদের প্রায় ১৫ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে।

ক্ষতিগ্রস্থ চায়ের দোকানদার আব্দুস সামাদ বলেন, ভূরুঙ্গামারীতে ফায়ার স্টেশন না থাকার কারনে বিভিন্ন সময়ে অগ্নিকান্ডে ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। আমরা দ্রুত ফায়ার সার্ভিস ষ্টেশনের দাবি জানাচ্ছি।

এ বিষয়ে নাগেশ্বরী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন মাষ্টার ইমন মিয়া বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছনোর আগেই বাজারটির সবগুলো দোকান পুড়ে গেছে। আমরা পৌছে দেড় ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন সম্পূর্ণভাবে নেভাতে সক্ষম হই। তবে অগ্নিকান্ডের শিকার একটি দোকানের একাংশ রক্ষা করতে পেরেছি। আমরা প্রাথমিক ভাবে ধারনা করছি বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের উৎপত্তি হয়েছে।

এব্যাপারে ভুরুঙ্গামারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দীপক কুমার দেব শর্মা বলেন, আমি আজ সকালে অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থ দোকান ঘরগুলি পরিদর্শন করেছি। দোকানগুলিতে থাকা দামী আসবাব পত্র, ইলেক্ট্রনিক জিনিসপত্র সহ মালামাল পুড়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। আপাতত ক্ষতিগ্রস্থদের খাদ্য সহায়তার আশ্বাস দিয়েছি। তারা নির্ধারিত ফরমে আবেদন করলে পরবর্তীতে বরাদ্দ আসলে সহায়তা দেয়া হবে।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *