তিমির বনিক, মৌলভীবাজার জেলা প্রতিনিধিঃ মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার ব্রাহ্মণবাজার ইউপি ৪ গ্রামের মানুষের মধ্যে বাঘের আতঙ্ক দেখা দেয়ায় গেল সোমবার বেলা ৩টায় ওই এলাকা পরিদর্শন শুরু করে মৌলভীবাজার বন্য প্রাণী বিভাগের একটি দল।

পরিদর্শন শেষে পায়ের চাপ দেখে পরিদর্শণকারী দল নিশ্চিত হন কয়েকদিন থেকে ওই এলাকায় বিচরণ করা প্রাণী বাঘ নয় মেছো বিড়াল ।

বন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ব্রাহ্মণবাজার ইউপি ৩ নং ওয়ার্ডের পশ্চিম সাতরা এলাকার আশপাশে বিগত কয়েকদিন থেকে বাঘ আকৃতির একটি প্রাণী মানুষের গৃহপালিত পশু-পাখি ও মানুষকে আক্রমণের খবর বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশ হলে বন অধিদপ্তর, বন্য প্রাণী বিভাগ মৌলভীবাজারের এই দলটি ওই স্থান পরিদর্শন করেন। এসময় তাঁরা মেছো বিড়ালের আক্রমণে মৃত ছাগলের মালিককে ক্ষতিপূরণ প্রদান করেন।

পরিদর্শনে অংশ নেন মৌলভীবাজার বন্য প্রাণী বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী, সহকারী বন সংরক্ষণ কর্মকর্তা শ্যামল কুমার মিত্র, টোকিও মেট্টোপলিটন ইউনিভার্সিটি অব জাপানের সহকারী অধ্যাপক ও ফিশিং ক্যাট গবেষক ড. আই সুজুকি, মৌলভীবাজার রেঞ্চ কর্মকর্তা গোলাম সারওয়ারসহ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থী।

মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, আমরা আজ ওই এলাকার বিভিন্ন স্থানে পায়ের চাপ দেখে নিশ্চিত হতে পেরেছি যে এটা বাঘ নয়, মেছো বিড়াল। মেছো বিড়াল সাধারণত হাওর এলাকা বা পুকুরের আশপাশে থাকে। মেছো বিড়াল খাদ্য হিসেবে ৬০ থেকে ৭০ ভাগ ভোগ করে মাছ ও ইঁদুর। আর এখানে এসে শুনলাম ছাগল ও রাজহাঁস মেরেছে। এ ধরণের ঘটনা অনেক সময় হয়ে থাকে। কারণ মেছো বিড়াল যখন বাচ্চা জন্ম দেয় তখন খাবারের সংকট দেখা দিলে এমনটা ঘটে থাকে।

মেছো বিড়াল যে স্থানে থাকে তার আশপাশের প্রায় ২ কিলোমিটার জায়গায় বিচরণ করে। তবে এরা মানুষের কোনো ক্ষতি করে না। তাই এসব এলাকার মানুষকে আতঙ্কিত না হওয়ার জন্য অনুরোধ করেছি। মেছো বিড়াল এ ধরণের আচরণ বেশি দিন করে না। সেজন্য কয়েকদিন গৃহপালিত পশু-পাখি খেয়াল করে রাখার আহবান করেছি এলাকাবাসীকে।

প্রত্যেক প্রানী কোনো না কোনোভাবে প্রকৃতি বা আমাদের উপকারে আসে। পরিদর্শন দল এলাকার সবার প্রতি অনুরোধ করেন কোনো বন্য প্রানী হত্যা না করার জন্য।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *