৫ প্রকল্পে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে ২.২৫ বিলিয়ন ডলারের ঋণ চুক্তি

জাতীয় ডেস্কঃ আঞ্চলিক বাণিজ্য ও কানেকটিভিটি, দুর্যোগ প্রস্তুতি এবং পরিবেশগত ব্যবস্থাপনার উন্নয়নে বাংলাদেশকে ২.২৫ বিলিয়ন ডলার ঋণ সহায়তা দেবে বিশ্বব্যাংক। এ লক্ষ্যে পাঁচটি প্রকল্প বাস্তবায়নে চুক্তি সই করেছে বাংলাদেশ ও সংস্থাটি।

গতকাল সোমবার (০১ মে) ওয়াশিংটনে বিশ্বব্যাংকের সদর দপ্তরে সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিশ্বব্যাংক প্রেসিডেন্ট ডেভিড মালপাসের উপস্থিতিতে এ চুক্তি সই হয়। প্রিস্টন অডিটোরিয়ামে ‘বিশ্বব্যাংক-বাংলাদেশ অংশীদারত্বের ৫০ বছরের প্রতিফলন’ শীর্ষক পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অধিবেশন চলাকালে দুই পক্ষের মধ্যে এ চুক্তি সই হয়।

প্রকল্প পাঁচটি হলো-

১. পূর্ব দক্ষিণ এশিয়ায় পরিবহণ ও বাণিজ্য সংযোগ ত্বরান্বিতকরণ (অ্যাকসেস) – বাংলাদেশ ফেজ-১ প্রকল্প, যার মূল্য ৭৫৩ দশমিক ৪৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।

২. স্থিতিস্থাপকতা, অভিযোজন ও দুর্বলতা হ্রাসের জন্য ৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের রেজিলিয়েন্ট ইনফ্রাস্ট্রাকচার বিল্ডিং প্রজেক্ট (রিভার), যা বাংলাদেশের ডেল্টা প্ল্যান ২১০০ কে সমর্থন করার জন্য প্রথম বড় বিনিয়োগ হবে। এটি অভ্যন্তরীণ বন্যার বিরুদ্ধে দুর্যোগ প্রস্তুতি উন্নত করতে সহায়তা করবে।

৩. ৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের ফার্স্ট বাংলাদেশ গ্রিন অ্যান্ড ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্ট ডেভেলপমেন্ট (জিসিআরডি), প্রকল্পটি এ ধরনের প্রথম ঋণ যা দেশের স্থিতিস্থাপক উন্নয়নে রূপান্তরে সহায়তা করবে।

৪. ২৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের সাসটেইনেবল মাইক্রোএন্টারপ্রাইজ অ্যান্ড রেজিলিয়েন্ট ট্রান্সফরমেশন (স্মার্ট) প্রকল্পের লক্ষ্য ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা খাতকে আরও গতিশীল, কম দূষণকারী, সম্পদ দক্ষ এবং জলবায়ু সহনশীল প্রবৃদ্ধি খাতে রূপান্তর করতে সহায়তা করা।

৫. ২৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বাংলাদেশ এনভায়রনমেন্টাল সাসটেইনেবিলিটি অ্যান্ড ট্রান্সফরমেশন (বেস্ট) প্রকল্পটি পরিবেশ ব্যবস্থাপনা জোরদার করতে এবং সবুজ বিনিয়োগে বেসরকারি খাতের অংশগ্রহণকে উৎসাহিত করবে।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন, পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

 

চারিদিকে সবুজের সমারোহ গো-চরনভুমি

তিমির বনিক, মৌলভীবাজার প্রতিনিধি: চারদিকে সবুজের সমারোহ। রয়েছে পথধারে আঁকাবাঁকা মেঠোপথ। পথের দুই প্রান্তে দিগন্ত বিস্তৃত খোলা মাঠ। যেখানে শত শত গরুর অবাধ বিচরণ। সাথে অন্য গবাদিপশুর মিশ্রতা ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে বিস্তৃত মাঠ জুড়ে গো-চারণভূমি। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের অপরুপ এমন দৃশ্যের দেখা মেলে মৌলভীবাজার সদর ও রাজনগর উপজেলার কাউয়াদীঘির হওরাঞ্চলে। বোরো চাষ, মাছ শিকারের পাশাপাশি গবাদিপশুর লালন পালনে ঝুঁকছে এখানকার মানুষজন। কয়েক বছর আগে হাওরাঞ্চলে গরুর সংখ্যা কমতে থাকলেও দুই তিনবছর ধরে গরুর সংখ্যা অনেকটাই বেড়েছে। শুকনো মৌসুমে ভোর থেকে বিকেল পর্যন্ত হাওর এলাকায় গবাদিপশুর ছোট বড় পালের দেখা মেলে বিস্তৃর্ণ মাঠে।

সম্প্রতি সদরের রসুলপুর গ্রাম দিয়ে কাওয়াদীঘি হাওরে যাবার রাস্তার পশ্চিমপার্শ্বে দেখা যায় শত শত গরুর ছোট বড় পাল। একেক পালে ৫০ থেকে ১০০ বা তারও অধিক গরু-মহিষ খোলা মাঠ জুড়ে বিচরণ করছে। এখন হাওরপারে বিভিন্ন জাতের ঘাস বেড়ে ওঠেছে। গরু মহিষ সেই ঘাস খেয়ে দিন পার করছে।

স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, শুকনো মৌসুমে হাওরে অস্থায়ীভাবে গবাদিপশুর লালন পালনের পুরোনো-প্রচলিত একটি পদ্ধতি। এসময় হাওরেই তৈরি হয় অস্থায়ী ডেরা। এখানকার প্রতিটি বাড়িতেই গবাদিপশু পালন করা হয়। পৌষমাস থেকে গ্রামে তৃণলতার অভাবে গো-খাদ্য সংকট হয়ে থাকে। এসময় গৃহস্থরা হাওরের পতিত জমিতে গরুকে ঘাস খাওয়ানো জন্য পাঠিয়ে দেন।

ওই এলাকার চার-পাঁচ কিলোমিটার দূর গ্রামের গৃহস্থরা বাড়ির কিংবা অন্য লোক দিয়ে মাস ভিত্তিতে গরু-মহিষ হাওরে চড়িয়ে থাকেন। দৈনিক একেক বাড়ির একেকজনের রাখালির দায়িত্ব থাকে। যিনি গরু-মহিষকে নিয়ে হাওরে নিয়ে যান। স্থানীয় ভাষায় এই রাখালিকে ‘গরুবারি’ বলা হয়। তাই প্রতিদিন সকালে নির্দিষ্ট স্থানে গবাদিপশুদের নিয়ে আসেন গৃহস্থরা। সেখান থেকে দায়িত্বপ্রাপ্ত রাখাল হাওরে পশুদের নিয়ে যান। সারাদিন গরু-মহিষের দল হাওরের চরে ঘাস খায়, ঘুরে বেড়ায়, সন্ধ্যার আগে আগে দলবেঁধে গৃহস্থের ঘরে ফিরে আসে।

একেকটি দলে ৫০ থেকে ১০০ বা তারও অধিক গরু-মহিষ থাকে। একেকজন মালিকের ৪ থেকে ৫টি কিংবা ১০ থেকে ১৫টি পর্যন্ত গরু-মহিষ-ছাগল থাকে। পৌষ থেকে চৈত্র-বৈশাখ পর্যন্ত চলে এই কার্যক্রম।

কথা হয় সূর্যের খড়া তাপে গবাদিপশু চড়ানোতে ব্যস্ত রসুলপুর এলাকার কৃষক মহসিন মিয়ার সাথে। তিনি বলেন, আজ আমার দায়িত্ব পড়েছে গরু চড়ানোর। নিজের ৮টি গরুসহ মোট ৬৬টি গরু ছাগল নিয়ে এখানে এসেছি।

জুমাপুর এলাকার কৃষক মন্নান মিয়া জানান, আমার ১১টি গরু রয়েছে। কৃষি ক্ষেতের পাশাপাশি এগুলো লালনপালন করি। পৌষমাস থেকে গ্রামে তৃণলতার অভাবে গো-খাদ্য সংকট হয়ে থাকে। এসময় গরু মালিকরা চার-পাঁচ মাসের জন্য গবাদিপশুদের হাওরে পাঠান।

কান্দিগাঁও এলাকার বড় একটি গরুর পাল সামলাচ্ছেন রাখাল মনিন্দ্র দাশ। তিনি জানান, সকালে কান্দিগাঁও এলাকার বড় রাস্তায় গৃহস্থরা গবাদিপশুদের নিয়ে আসেন। সেখানে পশুদের একত্রকরে হাওরে চলে যাই। তিনি জানান, শত শত গরুর ছোট বড় পাল হাওরে চরে চরে ঘাস খায়, ঘুরে বেড়ায়। বেলা হেলে পড়লে রাখালেরা গরু মহিষের দল নিয়ে গ্রামের দিকে রওনা দেন। হাওরের পথে পথে ধুলা উড়িয়ে বাড়ি ফিরতে ফিরতে সন্ধ্যা হয়ে যায়।

সদর উপজেলার হাওর এলাকার কৃষি ও কৃষকদের নিয়ে কাজ করেন রাজন আহমদ। তিনি বলেন, বোরো চাষের ওপর হাওর এলাকার মানুষ নির্ভরশীল, পাশাপাশি বর্ষায় অনেকে মাছ শিকার করে বিক্রি করেন। বর্তমান এই এলাকায় প্রচুর গরু ছাগল ও হাঁস মোরগের ছোট ছোট খামার রয়েছে। কয়েক বছর পূর্বে হাওরাঞ্চলে গরুর সংখ্যা কমতে থাকলেও দুই তিনবছর ধরে গরুর সংখ্যা অনেকটাই বেড়েছে। এখানকার গ্রামগুলোতে খামার গড়ে ওঠেছে। বিশেষ করে দেশীয় গরুর খামার। এই গরুগুলোকে ঘাস খাওয়াতে পতিত জমিতে নিয়ে যান কৃষকরা। একেকজন একেকদিন গরুগুলোর রাখালি করেন। এলাকার ১০ জনের গরু থাকলে ১০দিন আর ২০ গরু থাকলে ২০দিন পরপর রাখালির দিন আসে। স্থানীয় ভাষায় আমরা এই রাখালিকে গরুবারি বলি। হাওরাঞ্চলে মানুষের মাঝে এখনো এই রাখালিটা টিকে আছে।

রাজনগর উপজেলার ফতেপুর ইউপি চেয়ারম্যান নকুল চন্দ্র দাশ বলেন, শীত-বর্ষায় হাওরে দু’রকমে জীবন। শীত সব শুকনো থাকলেও বর্ষায় থৈ থৈ পানি। বর্ষায় গবাদিপশু একটা নির্দিষ্ট জায়গায় রেখে কচুরিপানা খাইয়ে বাঁচিয়ে রাখতে হয়। আর শুষ্ক মৌসুমে হাওরের উন্মুক্ত প্রান্তরে গবাদিপশুদের বিচরণ করিয়ে লালন পালন করা হয়।

ডোমারে মহান মে দিবস পালিত

মোঃ রাকিবুল হাসান, ডোমার প্রতিনিধিঃ “দুনিয়ার মজদুর, এক হও”—এই স্লোগানকে সামনে রেখে শ্রমিক অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নীলফামারীর ডোমারে পালিত হয়েছে মহান মে দিবস ও আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস। সোমবার (১লা মে) সকাল থেকে জনপ্রতিনিধি ও শ্রমিক নেতাদের নেতৃত্বে পৃথকভাবে ডোমার উপজেলা শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন। এছাড়া রাজনৈতিক দলগুলোর শ্রমিক শাখার নেতৃবৃন্দরাও সাংগঠনিক কর্মসূচি হিসেবে মিছিল করে।

ডোমার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান তোফায়েল আহমেদ ও পৌরসভার প্যানেল মেয়র সেলিম রেজার নেতৃত্বে নীলফামারী জেলা বাস-মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়ন, জেলা ট্রাক-ট্র‍্যাংক লড়ী শ্রমিক ইউনিয়ন, উপজেলা নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়ন, উপজেলা অটোবাইক মালিক সমবায় সমিতি, লোড-আনলোড কুলি শ্রমিক ইউনিয়ন, কাঠ শ্রমিক ইউনিয়নের বিশাল মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।

পরে, উপজেলার ৭নং বোড়াগাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আমিনুল ইসলাম রিমুন, উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মোঃ রফিকুজ্জামান রুবেল ও পৌর আওয়ামী যুবলীগের আহ্বায়ক মোঃ আনোয়ার হোসেন রকির নেতৃত্বে অটো শ্রমিক ইউনিয়ন ও শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়।

অন্যদিকে, ডোমার উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও পৌর কাউন্সিলর মোঃ আখতারুজ্জামান সুমনের নেতৃত্বে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের আলোচনা সভা ও র‍্যালী অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়াও ডোমারের বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন নিজ নিজ আয়োজনে মিছিল, আলোচনা সভা সহ বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে মহান মে দিবস ও আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস পালন করে।

ঝিকরগাছায় মহান মে দিবস উৎযাপন

জহিরুল ইসলাম, যশোর জেলা প্রতিনিধি: যশোর জেলার ঝিকরগাছায় জাতীয় শ্রমিক লীগের উপজেলা শাখা ও পৌর শাখার উদ্যোগে ১৩৭তম আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষে র‌্যালী, আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

সোমবার (১লা মে) সকাল ১১টায় হল রোডস্থ জাতীয় শ্রমিক লীগের উপজেলা শাখার অস্থায়ী কার্যালয়ের জাতীয় শ্রমিক লীগের উপজেলা শাখার আহবায়ক জাহাঙ্গীর সরদারের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম আহবায়ক মোঃ মাহাবুর হাসান বরি’র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সেরের মাধ্যমে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন যশোর-২ (চৌগাছা-ঝিকরগাছা) আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর জেনারেল (অব:) ডা: অধ্যাপক মোঃ নাসির উদ্দিন।


অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় শ্রমিক লীগের যশোর জেলা শাখার সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) জাবেদ আলী, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মোঃ সেলিম রেজা, শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি গোলাম মোস্তফা, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা লিয়াকত আলী, সাবেক উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ইদ্রিস আলী, ঝিকরগাছা ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক রবিউল ইসলাম, শিমুলিয়া ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক হাসান আলী, গদখালী ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক তসলিম উদ্দিন, জেলা আওয়ামী যুবলীগের সহ সভাপতি আজহার আলী, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আলমগীর হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আহসান হাবীব শিপলু, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদের খুলনা বিভাগীয় প্রচার সম্পাদক শাওন রেজা খোকা, উপজেলা কমিটির সভাপতি বাবলু, সাধারণ সম্পাদক শামীম রেজা, উপজেলা শ্রমিকলীগের আহবায়ক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক মারুফ হোসেন, সদস্য শাহিদুল ইসলাম, মনোরঞ্জন, রবিউল ইসলাম, আব্দার আলী, মিন্টু সরদার, সচিন, সাগর, আব্দুল সরদার, পৌর জাতীয় শ্রমিক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক কুরবান আলী, এলাহী বক্স।

গৌরবময় বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম রানওয়ের বিমানবন্দর

মৌলভীবাজারের শমসেরনগর বিমানবন্দরটি একসময় ছিলো এশিয়ার মধ্যে বৃহত্তম রানওয়ের অধিকারী বিমানবন্দর। সেই সাথে এটিই ছিলো বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম রানওয়ের বিমানবন্দর। কিন্তু ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে অব্যাবহৃতভাবেই পড়ে আছে বিমানবন্দরটি। তবে জানা গেছে নতুন করে চালু করার উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। দেশের অভ্যন্তরীণ পর্যটন খাতের বিকাশ ও যাত্রী পরিবহণ বাড়াতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এছাড়া মৌলভীবাজার ভৌগোলিক ভাবে পর্যটন কেন্দ্র ও পাশাপাশি প্রবাসীদের যাতায়াতের সুবিধা বিবেচনা করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেও জানা গেছে।

ইতোমধ্যেই এ সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় কাজ শুরু হয়েছে। বেবিচকের ২০৩০ সালের কর্মপরিকল্পনা এবং সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে এসব তথ্য। আরও জানা গেছে, বর্তমানে এই বিমানবন্দরটিতে বিমান উড্ডয়ন ও অবতরণ করছে না। বিমানবন্দরের রানওয়েতে গরু-ছাগলসহ গবাদি পশু অবাধে ঘুরে বেড়াচ্ছে। বিমানবন্দরের চারদিকে বাউন্ডারি দেওয়াল সহ কোনো ধরনের নিরাপত্তা চৌকিও নেই।

ফের চালু হচ্ছে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম রানওয়ের বিমানবন্দর

এই শমশেরনগর বিমানবন্দরের পূর্বের নাম ‘দিলজান্দ বন্দর’। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়- ‘শমসেরনগর বিমানবন্দর’। চা বাগানের মনোরম সৌন্দর্যের মাঝে ৬০০ একর জায়গা জুড়ে নির্মিত এই নান্দনিক বিমানবন্দর অবস্থিত। ৬০০০ ফুট লম্বা ও ৭৫ ফুট চওড়া রানওয়ে সংযুক্ত এই বিমানবন্দরটি। বিমানবন্দরটি দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধেরও আগে নির্মাণ করা হয়। এটি নির্মাণের উদ্দেশ্য ছিলো সামরিক কাজে ব্যবহার করা। জানা গেছে, ১৯৪২ সালে ব্রিটিশরা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপান, মালয়েশিয়া, মিয়ানমার (বার্মা) ও ইন্দোনেশিয়াকে দখল করার উদ্দেশে একসঙ্গে বড় যে দু’টি বিমানবন্দর নির্মাণ করেছিল, তার একটি হচ্ছে শমসেরনগর বিমানবন্দর।

তবে দুঃখের বিষয় ১৯৬৮ সালে একটি দুর্ঘটনার পর এখানে বিমান ওঠানামা বন্ধ হয়ে যায়। এরপর থেকে ৫১ বছর অবহেলিত অবস্থায় পড়ে আছে ঐতিহাসিক এই বিমানবন্দরটি। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা ও তদারকির অভাবে বিমান বন্দরের রানওয়েসহ বিভিন্ন নিদর্শন ধীরে ধীরে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তবে এই বিমানবন্দর চালু হলে দেশী-বিদেশী পর্যটকদের যাতায়াতের অমূল পরিবর্তন আসবে। তাছাড়া সেখানকার ব্যবসা বানিজ্যের পরিবর্তন আসবে পাশাপাশি পর্যটক খাতে ব্যবক উন্নতি সাধিত হবে বলে মনে করেন সুশীলসমাজ।

কুড়িগ্রামে রেল লাইনের পাশে মিলল নবজাতকের মরদেহ

অলিউর রহমান নয়ন, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি: কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার টগরাইহাট এলাকায় কুড়িগ্রাম-রংপুর রেল লাইনের পাশ থেকে এক নবজাতকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গত রোববার (৩০ এপ্রিল) সকালের দিকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। তবে কেবা কাহারা মরদেহটি রেল লাইনের পাশে রেখে গেছেন তা জানা সম্ভব হয়নি।

স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, সকালের দিকে রেল লাইনের পাশে এক নবজাতকের মরদেহ পরে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেয় স্থানীয় লোকজন। পরে পুলিশ এসে মরদেহটি উদ্ধার করে। ধারণা করা হচ্ছে নবজাতকটি ৬-৭ মাস বয়সী। কে বা কাহারা গর্ভপাত করে এখানে ফেলে দেয়।

ওই এলাকার রবিউল ইসলাম রবি নামের একজন বলেন, বিষয়টি খুবই দুঃখজনক । মনে হচ্ছে গর্ভপাত করে বাচ্চাটিকে এখানে রেখে যান। আর বাচ্চাটি মেয়ে বাচ্চা। বাচ্চাটি ফুটফুটে সুন্দর, দেখে খুবই মায়া লেগেছে।

রাজারহাট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ হীল জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, নবজাতকটির বয়স ৬-৭ মাস হতে পারে। কেউ হয়তো গর্ভপাত করে রাতের আধারে এখানে ফেলে রেখে গেছেন। মরদেহটি রেল লাইনে থাকার কারণে আইনগত বিষয়টি রেলওয়ে পুলিশ দেখবেন।

তিন ভাষা সৈনিককের বাড়ী ও জমি অবৈধ দখলের অভিযোগ

তিমির বনিক, মৌলভীবাজার প্রতিনিধি: যে ভাষার জন্য প্রাণ দিয়েছে হাজারো বাঙ্গালী যাদের রক্তের বিনিময়ে আমরা এ ভাষার স্বাদ গ্রহন করছি। আর এ ভাষা আন্দোলনের অন্যতম তিন ভাষা সৈনিক ছিলেন, তারা হলেন ছালেহা বেগম, রওশন আরা বাচ্চু ও হোসনে আরা বেগম। একই মায়ের গর্ভের তিন কন্যা বাবার অনেক আদরের ছিলেন।

বড় বোন রওশন আরা বাচ্চু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী হিসাবে ছাত্র রাজনীতি ও তখনকার চলমান মাতৃভাষা আন্দোলনের সাথে তিনি প্রত্যক্ষভাবে সম্পৃক্ত ছিলেন। মেজো বোন হোসনে আরা বেগম ১৯৪৮ সালে পিরোজপুর আরবান গার্লস স্কুলে দশম শ্রেণির ছাত্রী ছিলেন। জিন্নাহ ঢাকায় এসে উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করার ঘোষণার প্রতিবাদে ১৯৪৮-এর ১১ মার্চ স্কুল থেকে ধর্মঘটের আহ্বান করায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। ছোট বোন সালেহা বেগম ১৯৫২ সালে ময়মনসিংহ মুসলিম গার্লস হাই স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্রী ছিলেন, যখন ১৯৫২ সালে ময়মনসিংহ মুসলিম গার্লস হাই স্কুলেও কালো পতাকা উড়ানো হলে, যার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন ছালেহা বেগম একাই। সকলের বাধা বিপত্তি উপেক্ষা করে কালো পতাকা ওড়ালেন। ফলে ছালেহা বেগমকে স্কুলের নিয়ম শৃঙ্খলা ভঙ্গের কঠিন শাস্তিস্বরূপ তিন বছরের জন্য স্কুল থেকে বহিষ্কার ঘোষণা করা হয়। আর এর ফলশ্রুতিতে  বাংলাদেশ পেয়েছে বাংলাভাষা, নিশ্বাসের মাতৃভাষা।

মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলার ঊছলাপাড়া গ্রামে জন্ম এ তিন ভাষা সৈনিকদের বাবার দেওয়া প্রাপ্ত সম্পত্তি গুলো স্থানীয় কিছু ভূমিদস্যু গ্রাস করার পায়েতারা করছে এর মধ্যে শতবর্ষ পুরনো ঐতিহ্যবাহী বাড়ি ও পুকুর রয়েছে। উত্তরাধিকারীদের অনেকেই রাজধানী ঢাকা এবং  দেশের বাইরে অবস্থান করছেন এ সুযোগ কিছু স্থানীয় ভূমিদস্যু বর্তমান সরকারের নাম বিক্রি করে দখলের পায়তারা করছে। করোনাকলীন সময়ে ভাষা সৈনিকদের ওয়ারিশগনের চলাচল সীমিত ছিল বলে এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে সেখানে লুটপাট করার চেষ্টা করছে ভূমিদস্যুরা।
এই বংশের অন্যতম উওরাধিকারী জালাল মো: আজরফ ও আর এক উত্তরাধীকারী ভাষাসৈনিক ছালেহা বেগমের বড় ছেলে সৈয়দ শাকিল আহাদ এই প্রতিনিধিকে জানান, ভাষাসৈনিক তিন বোনের ঐতিহ্যে সম্ভৃদ্ধে শতবর্ষী এই বাড়ীর ও পুকুরের সংরক্ষন এ প্রশাসন ও স্থানীয় জনগনের সহায়তা চেয়েছেন পরিবারের সদস্যরা। যাতে তিন ভাষা সৈনিকদের নামে ভাষা অডিটরিয়াম ও জনসাধরনের জন্য জনমিলন কেন্দ্র সহ বিভিন্ন ধরনের শিক্ষামূলক ও জন কল্যানমুলক স্থাপনা তৈরী করার ইচ্ছা পোষন করেছেন অধিকাংশ উত্তরাধিকারগন।

ভারতে কারখানায় গ্যাস লিক করে ৯ জন নিহত

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ ভারতের পাঞ্জাব প্রদেশের লুধিয়ানায় গ্যাস লিক করে ৯ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ১১ জন। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আজ রোববার (৩০ এপ্রিল) পাঞ্জাব প্রদেশে একটি কারখানায় এ ঘটনা ঘটে।

এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গ্যাস লিকের পর সেখানে দ্রুত ছুটে যান উদ্ধারকারীদের একটি দল। তাদের সঙ্গে ঘটনাস্থলে চিকিৎসক, অ্যাম্বুলেন্স এবং ফায়ার ব্রিগেডের সদস্যরাও যোগ দেন। ওই এলাকাটি এখন ঘিরে ফেলা হয়েছে এবং সাধারণ মানুষের চলাচল সীমিত করে দেওয়া হয়েছে।

লুধিয়ানার ম্যাজিস্ট্রেট স্বতি তিওয়ানা বার্তাসংস্থা এএনআইকে বলেছেন, এটি একটি গ্যাস লিকের ঘটনা। এ ঘটনায় ৯ জন নিহত হয়েছেন এবং অসুস্থ হয়েছেন ১১ জন। এটি কী ধরনের গ্যাস এবং কীভাবে গ্যাস লিক হলো সেটির কারণ এখনও জানা যায়নি। এনডিআরএফ দল বিষয়টি তদন্ত করবে।

তিনি জানান, যেখানে গ্যাস লিক হয়েছে সেটি একটি জনবহুল এলাকা। ফলে এখন তাদের প্রধান লক্ষ্য হলো দ্রুত সাধারণ মানুষকে সেখান থেকে সরিয়ে ফেলা।

এসএসসি পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসের সুযোগ নেই

শিক্ষা ডেস্কঃ এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। আজ রোববার (৩০ এপ্রিল) রাজধানীর বাড্ডা হাই স্কুল কেন্দ্র পরিদর্শন করে তিনি এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হচ্ছে। কোথাও কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা বা অনিয়মের ঘটনা শোনা যায়নি।

তিনি বলেন, এবার প্রশ্নফাঁসের কোনো সুযোগ নেই। প্রশ্নপত্র ফাঁস না হওয়ার জন্য আমরা সবধরনের ব্যবস্থা নিয়েছি। তবে, কেউ গুজব ছড়ালে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

দীপু মনি বলেন, করোনা পরবর্তী দুই বছর পর পূর্ণ সিলেবাসে শতভাগ নম্বরে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা হচ্ছে। করোনায় ক্ষতি কাটিয়ে ধীরে ধীরে শিক্ষার স্বাভাবিক পরিবেশে আমরা ফিরতে সক্ষম হচ্ছি।

তিনি বলেন, প্রতি বছর পাবলিক পরীক্ষার ভুল প্রশ্ন বিতরণের ঘটনা ঘটছে। যাদের মাধ্যমে এসব হচ্ছে তাদের কঠোর শাস্তির আওতায় আনা হয়েছে। সে কারণে এবার প্রশ্ন বিতরণে ভুল-ভ্রান্তি হওয়ার সুযোগ কম।

মন্ত্রী বলেন, ভুল তো ভুলই, কেউ ভুল করে করলে সেটি সেই মুহূর্তে ঠেকানো সম্ভব হয় না। যেসব কেন্দ্রে এ ধরনের অভিযোগ পাওয়া যাবে, দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, চলতি বছরে দেশের ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ২০ লাখ ৭২ হাজার ১৬৩ জন শিক্ষার্থী এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নেবে। এর মধ্যে ছাত্র ১০ লাখ ২১ হাজার ১৯৭ জন এবং ছাত্রী ১০ লাখ ৫০ হাজার ৯৬৬ জন।

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে শিল্পী নোবেলের মাতলামি, জুতা নিক্ষেপ

অলিউর রহমান নয়ন, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি : কুড়িগ্রাম ফুলবাড়ি ডিগ্রি কলেজের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে সূর্বণজয়ন্তীর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত শিল্পী মাইনুল ইসলাম নোবেলের মাতলামির কারনে দর্শকদের জুতা ও পানির বোতল নিক্ষেপে অনুষ্ঠান পন্ড হয়েছে। শিল্পী নোবেলের এমন কর্মকান্ড মূহুর্তেই সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে পড়ে এবং সমালোচনার ঝড় ওঠে। বৃহস্পতিবার রাতে ফুলবাড়ি ডিগ্রি কলেজ মাঠে এ ঘটনা ঘটে।

সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে দু’দিন ব্যাপী অনুষ্ঠানের প্রথম দিন গত বৃহস্পতিবার ছিল বর্ণাঢ্য র‌্যালি, আলোচনাসভা, কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা, ডকুমেন্টরী প্রদর্শন, র‌্যাফেল ড্র এবং ঢাকা থেকে আগত শিল্পী গোষ্ঠীর পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। দিন ব্যাপি সকল কর্মসূচি পালনের পর রাতে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ১১টার দিকে মঞ্চে ওঠেন গায়ক নোবেল।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও এবং স্থানীয়রা সূত্রে জানা যায়,ফুলবাড়ী ডিগ্রি কলেজের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন করতে গায়ক নোবেলকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। রাত ৯টার দিকে তার গান গাওয়ার কথা থাকলেও তিনি মঞ্চে ওঠেন ১১টা ২০ মিনিটে । মঞ্চে উঠে নোবেল তার চশমা খুলে পাঞ্জাবির কলারে রেখে মাতালের ভঙ্গিতে বলেন, দ্বিতীয় বার কুড়িগ্রামে আসলাম। এর আগে এসেছিলাম তোমাদের সাথে দেখা হয়নি। সুদুর ইন্ডিয়ার বর্ডার লাইনে থেকে গেছিলাম। তোমাদের কারও সাথে দেখা হয়নি। এবার দেখা হলো আলহামদুলিল্লাহ। এরপর এই আমার চশমাটা কই বলে চিৎকার করেন। পরে চশমা পেয়ে চোখে পড়ে “সে যে আমার জন্মভূমি” গান পরিবেশন করেন। এসময় তিনি মাইক্রোফোন স্ট্যান্ড আছার দিয়ে ভেঙে ফেলেন।

এরপর তিনি স্টেজে দু’পা তুলে প্যারেড করার মতো লাথি মেরে পড়নের প্যান্ট দু’হাত দিয়ে ঠিক করে  গান ধরেন “ কারার ওই লৌহ  কপাট”। গানের এক পর্যায় মাতলামি করতে করতে বসে পড়েন। তার এমন মাতলামির কারণে ক্ষেপে গিয়ে দর্শকরা জুতা ও পানির বোতলের ঢিল ছুড়ে মারেন তার দিকে। পরে স্টেজে থাকা কয়েকজন এবং আয়োজকবৃন্দ নোবেলকে সরিয়ে নিয়ে যায়। এমন দৃশ্য ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে মূহুর্তেই ছড়িয়ে পড়লে শুরু হয় সমালোচনার ঝড়।

এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুরে  জেলার ফুলবাড়ি উপজেলার ঐতিহ্যবাহী ফুলবাড়ী ডিগ্রি কলেজের ৫০বছর পূর্তি ও সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মশিউর রহমান,কুড়িগ্রাম-২আসনের সংসদ সদস্য পনির উদ্দিন আহমেদ,জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ, পুলিশ সুপার আল আসাদ মো. মাহফুজুল ইসলাম, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জাফর আলী, সাধারণ সম্পাদক আমান উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু, ৫০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানের আহবায়ক ও ফুলবাড়ী ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ আমিনুল ইসলাম রিজু, সদস্য সচিব ও জসিমিয়া মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবেদ আলী প্রমুখ।

আয়োজক কমিটির সদস্য সচিব জসিমিয়া মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবেদ আলী খন্দকার জানান, শিল্পী নোবেল মদপান করেছেন কিনা আমি জানিনা। তবে তিনি মঞ্চে উঠে মাতলামী শুরু করলে দর্শক ক্ষেপে গিয়ে পানির বোতল ও জুতা নিক্ষেপ করে। পরে তাকে মঞ্চ থেকে সরিয়ে আনা হয়।