নওগাঁ মহিলা দলের সভাপতি সম্পাদকের পদ থেকে বহিষ্কারের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন

কামাল উদ্দিন টগর, নওগাঁ জেলা প্রতিনিধিঃ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দল নওগাঁ জেলা শাখার সভাপতি মাসরেকা বানু চৌধুরী সীমা ও সাধারণ সম্পাদক ফাতেমা বেগমের অপসারণ দাবি করে এক সংবাদ সম্মেলন করেছে জেলা মহিলা দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।

তাদের বিরুদ্ধে কমিটির কারও সাথে কোন পরামর্শ না করেই মিটিং আলোচনা না করেই একক কর্তৃত্বে উপজেলাগুলোতে মহিলা দলের মনগড়া কমিটি গঠন প্রক্রিয়া শুরু করেছেন। মহিলা দল বিএনপিসহ সকল অঙ্গ সংগঠনের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী প্রথমে আহবায়ক কমিটি গঠনের পর তৃনমূলের সকল নেতাকর্মীদের মতামতের ভিত্তিতে কমিটি গঠনের নিয়ম। কিন্তু বর্তমান সভাপতি সম্পাদক সম্পূর্ন অগণতান্ত্রিকভাবে একের পর এক কমিটি অনুমোদন দিয়ে চলেছে। জেলার ১৪টি সাংগঠনিক কমিটির মধ্যে ইতিমধ্যেই মান্দা ও সাপাহার উপজেলা এবং ধামইরহাট পৌরসভা কমিটি ঘোষনা করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়েছে এসব কমিটিতে দলের ত্যাগী নেতাদের কোন সম্মানজনক পদে স্থান দেয়া হয়নি। ক্রান্তিলগ্নে যেসব নেতৃবৃন্দ বিভিন্ন  উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন তাদের সম্মানজনক পদে অধিষ্ঠিত করার  সুস্পষ্ট নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও এক্ষেত্রে কোন কর্ণপাত করা হয়নি। নগদ টাকা এবং স্বর্নালঙ্কারের বিনিময়ে তুলনামূলকভাবে দলের প্রতি কম অনুরক্তদের গুরুত্বপূর্ণ পদে মনোনীত করা হয়েছে। এমনকি দুঃসময়ে যারা আওয়ামী লীগে যোগদান করেছিল তাদেরকেও মহিলা দলের কমিটিতে সম্মানজনক পদে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে।

মান্দা উপজেলার সাবেক এক চেয়ারম্যান ভাই অভিযোগ করেছেন দলের বিভিন্ন কার্যক্রমের ঢাকা যাওয়া এবং নেতা নেত্রীদের উপহার দেয়ার নাম করে তার নিকট থেকে কমপক্ষে ৪০ হাজার টাকা নেয়া হয়েছে।  অথচ অন্য একজনের নিকট থেকে দামি স্বর্ণালংকারের বিনিময়ে তাকে মহিলা দলের উপজেলা কমিটিতে সম্মানজনক পদ দেয়া হয়েছে। জেলার ১১ টি উপজেলার মধ্যে দশটি উপজেলায় নির্বাচিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানদের কাউকেই সম্মানজনক পদ দেয়া হয়নি। বাড়িতে বসেই এসব পকেট কমিটি গঠন করা হয় বলে অভিযোগ করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে নওগাঁ জেলা মহিলা দলের সভাপতি মাসরেকা বানু চৌধুরী সীমা এবং সাধারণ সম্পাদক ফাতেমা খাতুনকে স্ব স্ব পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার দাবী জানিয়েছেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পত্নীতলা উপজেলা পরিষদের সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মরিয়ম বেগম সেফা।  এ সময় উপস্থিত ছিলেন পারভিন বানু স্বপ্না, শবনম মুস্তারী কলি, সামিনা পারভীন পলি, মমতাজ বেগম,  সাজেদা বেগম, জামিলা আকতার ফেন্সী, শাম্মি আকতার, মর্জিনা বেগম ও মোরশেদা পারভীনসহ বিভিন্ন পর্যাযের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

প্রেমিকার বাবাকে ফাঁসাতে মন্ত্রীকে হত্যার হুমকি যুবকের!

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ প্রেমিকার বাবাকে ফাঁসাতে তাঁরই মোবাইলফোন থেকে ভারতের উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগে আমিন নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) এ তথ্য জানায় পুলিশ। খবর এনডিটিভির।

১৯ বছর বয়সী আমিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি পুলিশের জরুরি সেবা ১১২ নম্বরে কল করে যোগী আদিত্যনাথকে হত্যার হুমকি দিয়েছেন।

অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) অঙ্কিতা শর্মা বলেন, আমিনকে বেগমপুরা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। একইসঙ্গে হুমকি দেওয়ার জন্য ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি জব্দ করা হয়েছে। প্রেমিকার বাবা তাদের সম্পর্কটি মেনে না নেওয়ায় হতাশ হয়ে ষড়যন্ত্রটি করেছিল আমিন।

এ বিষয়ে সহকারী পুলিশ কমিশনার সন্তোষ কুমার সিং বলেন, হুমকি পাওয়ার পর পুলিশ আমিনের প্রেমিকার ই-রিকশাচালক বাবার সঙ্গে যোগাযোগ করে। তিনি দাবি করেন, তার মোবাইল ফোনটি প্রায় ১০ দিন আগে চুরি হয়ে গেছে।

সন্তোষ কুমার সিং আরও বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে আমিনের প্রতিবেশীরাও জানায়, সে লোকটিকে ফাঁসানোর ষড়যন্ত্র করেছে। কারণ সে তার মেয়েকে বিয়ে করতে চেয়েছিল।

এদিকে, আমিন নিজের অপরাধ স্বীকার করেছে জানিয়ে পুলিশ কর্মকর্তা অঙ্কিতা শর্মা বলেন, তিনি প্রায় ১০ দিন আগে প্রেমিকার বাবার মোবাইল ফোন চুরি এবং তার সিম কার্ড ব্যবহার করে হুমকি দেওয়ার কথা স্বীকার করেছে। তার বিরুদ্ধে তিনটি মামলা হয়েছে।

জমি নিয়ে বিরোধের জেরে পাঁচ শতাধিক কলাগাছ কর্তন

অলিউর রহমান নয়ন, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে এক ব্যক্তির পাঁচ শতাধিক কলাগাছ কেটে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা। সোমবার (২৪ এপ্রিল) সকাল ১১ টার দিকে উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের চর গোরকমন্ডল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার নাওডাঙ্গা গ্রামের মজিবর রহমানের ছেলে শফিকুল ইসলামের পৈত্রিক সুত্রে প্রাপ্ত ৫৪ শতক জমি রয়েছে চর গোরকমন্ডল গ্রামে। এবছর তিনি ওই জমিতে ভুট্টা ও কলা আবাদ করেছেন। সোমবার সকালে শফিকুল ইসলাম শ্রমিক দিয়ে ক্ষেতের পাকা ভুট্টা তুলে বাড়ীতে নিয়ে আসেন। তিনি বাড়ীতে আসার পরপরই দুর্বৃত্তরা তার জমিতে রোপন করা প্রায় পাঁচ শতাধিক কলাগাছ কেটে সাবাড় করে। স্থানীয় লোকজন ৯৯৯ এ ফোন করলে ফুলবাড়ী থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পুলিশ দেখে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়।
শফিকুল ইসলাম জানান, একই দাগে মোট ১৮৩ শতক জমি রয়েছে। যার মধ্যে ১২৯ শতক রেকর্ড হয়েছে ওই এলাকার মৃত ইজ্জত আলীর ছেলে আব্দুল হামিদ গংদের নামে। আর ৫৪ শতক রেকর্ড হয়েছে আমার বাবার নামে। দীর্ঘ দিন থেকে আব্দুল হামিদ ও তার ভাইয়েরা জমিটি দখলের পায়তারা চালিয়ে আসছেন। যার প্রেক্ষিতে আমরা ২০২২ সালে আদালতে ১৪৪ ধারা জারীর মামলা করি। মামলা নং- এম আর ১৫২/২২(ফুলবাড়ী)। শুনানির পর বিজ্ঞ আদালত ওই জমিতে বিবাদী পক্ষের প্রবেশে স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারী করেন। কিন্তু  আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে আজ আব্দুল হামিদ ও তার লোকজন জমিতে প্রবেশ করে পাঁচ শতাধিক কলাগাছ কেটে ফেলেছে। আমি এ অন্যায়ের উপযুক্ত বিচার চাই।
এ ব্যাপারে আব্দুল হামিদ বলেন, আমরা কলাগাছ কাটিনি। কে বা কাহারা কেটেছে আমি জানিনা।
ফুলবাড়ী থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক জাহিদুল ইসলাম জানান, ৯৯৯ থেকে ফোন পেয়ে ঘটনাস্হলে গিয়ে কলাগাছ কাটার সত্যতা পেলেও দুস্কৃতিকারী কাউকে পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে অভিযোগ হলে তদন্ত সাপেক্ষ আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মাদ্রাসায় পড়ুয়া মেয়ে জন্মদাতার দ্বারা ধর্ষিত

তিমির বনিক, মৌলভীবাজার প্রতিনিধি: মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় সপ্তম শ্রেণিতে মাদ্রাসায় পড়ুয়া নিজের মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে আফতাব আলী ওরফে চিনু মিয়াকে (৫০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) সকালে উপজেলার জয়চণ্ডী ইউনিয়নের তার নিজবাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি ওই ইউনিয়নের গিয়াসনগর গ্রামের কাছিম আলীর ছেলে।

মঙ্গলবার দুপুরে থানায় এক প্রেসব্রিফং এর মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেন কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুছ ছালেক।

তিনি জানান, ধর্ষণের শিকার ওই মেয়ে একটি মাদ্রাসায় সপ্তম শ্রেণিতে লেখাপড়া করে। দেড়মাস আগে তার মা কাজের উদ্দেশ্যে প্রবাসে যান। তিনি প্রবাসে যাওয়ার পর থেকে চিনু মিয়া তার দুই মেয়ে ও এক ছেলেকে নিয়ে নিজবাড়িতে বসবাস করে আসছেন। গত শনিবার (২২ এপ্রিল) রাতে তার মেয়ে খাওয়া দাওয়া শেষে ঘুমিয়ে পড়ে। রাত ২টার দিকে মেয়েটি ঘুমে থাকা অবস্থায় তার বাবা চিনু মিয়া তাকে মুখ চেপে ধরে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।

ওসি জানান, ধর্ষণের শিকার মেয়েটি সোমবার (২৪ এপ্রিল) লস্করপুরে তার নানাবাড়িতে গিয়ে বিষয়টি জানালে মঙ্গলবার সকালে ধর্ষিতার নানি থানায় এ বিষয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের পরক্ষনে ধর্ষক চিনু মিয়ার বাড়িতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে।

ওসি আরও জানান, এ বিষয়ে থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং ধর্ষণের শিকার মেয়েটিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য মৌলভীবাজার জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সে এখন চিকিৎসাধীন অবস্থায় ডা: এর পর্যবেক্ষণে আছেন।

আশ্রয়!

কলমে – মনকথা ( ০১/০২/২০২৩)

নাহ, হলো নাহ, থাক নাহ!
আমি বরং ফিরেই যাই!
একটু জায়গা তো হলো নাহ,
জায়গার কথা বলছি কেন, জায়গা হলে তো,এতটুকু অধিকার থাকে,
আমি তো চেয়েছিলাম এতটুকু আশ্রয়,
সেটুকুও তো হল নাহ,
তার চেয়ে বরং আমি ফিরেই যাই।
যেতেই হচ্ছে, যেতেই হয়।
ভাগ্য বিধাতা কেন যেন, এমনটিই লিখেছে,
কতবার কতজনের কাছে গিয়েছি,
একটু আশ্রয়ের আশায়,
কই কেউ তো এতটুকু আশ্রয় দেয়নি,
কেন দেয়নি তার পুরো দায় সবই আমার,
মন থেকে চেয়েছিলাম, ভেবেছিলাম,
কিছুটা প্রত্যাশা তো ছিলোই,
অন্তত শেষ বারের মত তোমার কাছে আশ্রয় পাবোই,
কেন যে পেলাম নাহ, সেটার আর উত্তর খুঁজতে চাই নাহ!
আর কেন পাই নাহ, সেটা আমি বেশ ভালোই জানি,
তবুও কেন জানি বারবার মনে হতো!
তোমার সাদাকালো মুখটা,
আমার ভেতরটা নতুন করে জাগ্রত করে তোলে,
সত্যি বলছি আমাকে নতুন করে জাগ্রত করে তুলে,
নতুন জীবনের আশা দেখায়,
আমি জাগ্রত, আমি জাগ্রত দিবানিশি, চলেছি পথ, চলেছি পথ!
আরও কত কিছু, মনের মধ্যে কত কিছুই না ভেবেছিলাম,
এখন আমার মনে হয় কি,
এভাবে চলতে দেওয়া যায় নাহ!
এবার বরং রাশ টেনে ধরি!
জীবনের কঠিন দাঁড় বাইতে বাইতে,
যে দাঁড় সবসময়ই পিছন থেকে ছুটে গেছে,
সেই পিছন থেকে ছুটে যাওয়া দাঁড়টা আর কত দিন,
একটা সময় তো আসে!
দাঁড়ের শেষ প্রান্তটা শেষ হয়ে যায়!
সেই শেষ প্রান্তে এসে শেষ বারের মত!
আশা সঞ্চয় করে তোমার কাছে পেতেছিলাম দু-হাত,
সেই তুমিও ফিরিয়ে দিলে!
তোমার কি একটি বারও মনে হয়নি!
যাকে ফিরিয়ে দিচ্ছো, কেন দিচ্ছো!
তুমি জানো নাহ, কিন্তু আমি জানি!
কেন জানি জানো, এজন্যই জানি,
আমার ভেতরের আর্তনাদ, ভেতরের আর্তচিৎকার,
নতুন করে বেঁচে থাকার একটা আশার আলো!
আমি তোমার সাদাকালো মুখে দেখেছিলাম,
একটু আশ্রয় আর আশায় বুক বেঁধেছিলাম!
কক্ষনও মনেই হয়নি, তোমার কাছে আশ্রয় চাইতে গেলেও,
তুমি আমাকে ছোট করে দেখবে!
মাঝে মধ্যে মনে হয় তুমি আমাকে আশ্রয়হীন করবে নাহ,
কিন্তু আমি তো তোমার কাছে আশ্রয় নিতে পারিনি,
পারিনি তোমার মনের কেন এতটুকু জায়গা করে নিতে,
সে দায় কি তোমার বলো,
সব দায় তো আমার, আমার ব্যর্থতা!
আমার অজানা মন খুঁজে বেড়ানোর উপায়,
আমি কিন্তু কক্ষনও, কোন দিন তোমার মন খুঁজে পাইনি,  কেন জানো, উমহুহ, তুমি জানো নাহ তো!
কিন্তু আমি জানি মন খুঁজে পেতে হলে,
নিজেও একটা সুন্দর মন থাকতে হয়,
আর ধরে রাখার মন তো থাকতে হয়,
আমার সে মন তো ছিলো নাহ কক্ষনও,
কক্ষনওই না, কোন দিনই ছিলো নাহ!
কিন্তু আমি জনি আমার ভেতরটা, আমার বাইরের টা, আমার সমস্ত পৃথিবীর অস্তিত্ব সবই বেদখল হয়ে গেছে, নির্মমতা, নিষ্ঠুরতায়!
কোথায় জানো তার নাম তোমাদের বাস্তবতা,
সত্যিই বাস্তবতা, এই বাস্তবতার সাথে আমার কক্ষনও পরিচয়ই হয়নি, কক্ষনও জানা হয়নি!
তবে হ্যাঁ এই বাস্তবতা শব্দ টা, আমি শুনেছি বেশ কয়েক বার, তোমাদের মুখে, তুমি কি জানো একটা শব্দ শুনলেই কি, সেই শব্দ সম্পর্কে সবকিছু জানা যায়, বোঝা যায়, উপলব্ধি করা যায়!
অনুভব করা যায়,
করিনি তো কক্ষনওই করি করিনি,
এই বাস্তবতা অনুভব করিনি বলেই তোমার কাছে আশ্রয় চাইতে গিয়েও পাইনি,
কারণ তোমার সাথে বাস্তবতার মিথেল যোগ করে,
এক অসম্ভব সুন্দর জীবন গড়েছো তুমি,
কিন্তু আমি তো পারিনি,
আচ্ছা কেন পারিনি,
আর তোমরা কেন, কিভাবে পারো!
উহহু, আচ্ছা বোকার মত শুধু তোমাকেই প্রশ্ন করেই চলেছি, অথচ সব গুলো প্রশ্নের জবাব আমি নিজেই জানি তোও, হয়তো তোমার চেয়েও বেশি,
কেন জানি জানো, আমি যে প্রশ্ন করি,
কেন প্রশ্ন করি,
প্রশ্ন করি বলেই তো প্রশ্নের জবাব টা জানি,
তুমি জানো নাহ, সত্যি ই জানো নাহ,
কিভাবে আশ্রয় দিতে হয়,
কিভাবে আগলে রাখতে হয়,
কিভাবে যত্ন নিতে হয়,
অসহায় এক বাজপাখিকে!
জানো, ঝড়ের কবলে পরে কোন এক বাজপাখি,
প্রচন্দ্র পরিমানে আহত হয়ে যখন শীতের সকালে কাতরায়,  তুমি কক্ষনও দেখেছো,
সে বাজপাখি চোখটা দেখেছো,
সে কতটা অসহায়ত্ব নিয়ে চেয়ে থেকে বেঁচে যায়,
আকুল আবেদন করে যায় প্রকৃতির কাছে,
দেখোনি তো,
তবে তুমি জানবে কি করে,
কিন্তু আমি শুধু দেখিই নাই,
আমি সেই অসহায় বাজপাখির মতোই চেয়েছিলাম,
সত্যিই চেয়ে ছিলাম!
তার চেয়ে বরং এক কাজ করি,
আমি বরং তোমাকে ছেড়েই দেই,
স্বস্তিতে, শান্তিতে, সুন্দরে থাকো তুমি অম্লান এক সুন্দর পৃথিবীতে।
আমি না হয় ফিরেই গেলাম,
জানো, আমি এভাবে বলতে পারবো তোমার কানের কাছে ঘন্টার পর ঘন্টা, রাতের পর রাত।
কিন্তু তোমার যে ঘুম ভাঙবে নাহ।
যখন জেনেই গেছি তোমার ঘুম ভাঙবে নাহ,
আমি তোমার ঘুম ভাঙাতে পারবো নাহ,
তার চেয়ে বরং  ফিরেই গেলাম,
সত্যিই ফিরে গেলাম৷
শুধু বলে গেলাম ভালোবাসতে পারিনি,
ধরে রাখতে পারিনি, তুমি ভালো থেকো,
তবে একটা অভিশাপ দিয়ে যাচ্ছি,
কক্ষনও আমার মত করে কেউ কক্ষনও তোমায় ভালোবাসতে চাইবে নাহ, তাই ভালোবাসতেও পারবে নাহ,
এক অতৃপ্ত আত্মার আর্তনাদ তোমাকে খুরে খুরে খাবে,  সময়ে অসময়ে, দিনে রাতে, সর্বক্ষণ, সর্বময় মূহুর্তে,
তোমার সর্বস্ব অস্তিত্বে একটা সময় আমাকে ফিরিয়ে দিয়েছো বলে, তোমাকেই খুরে খাবে,
তুমি অভিশপ্ত, তুমি অভিশপ্ত নিঃশ্বাস নিয়ে যাবে অবিরাম কেঁদে যাবে।
সেদিন আমি আকাশে উড়াল দেবো,
সেদিন আমি আমাকে ছেড়ে চলে যাবো,
সেদিন তোমার অস্তিত্ব বিলিয়ন হচ্ছে যাবে আমার হৃদয় থেকে,
তুমি বলতেও পারবে নাহ আমিও ভালোবেসেছিলাম!

প্রশ্নফাঁস রোধে দেশের সব কোচিং সেন্টার বন্ধ

শিক্ষা ডেস্কঃ মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস রোধে আগামী ২৩ মে পর্যন্ত দেশের সব কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। আজ (২৬ এপ্রিল) থেকে এ নির্দেশনা বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে।

চলতি বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা আগামী ৩০ এপ্রিল শুরু হবে। এ বছর ১১টি শিক্ষা বোর্ডে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ২০ লাখ ৭২ হাজার ১৬৩ জন। এরমধ্যে ছাত্র সংখ্যা ১০ লাখ ২১ হাজার ১৯৭ এবং ১০ লাখ ৫০ হাজার ৯৬৬ জন ছাত্রী।

পরীক্ষার্থীকে অবশ্যই পরীক্ষা শুরুর কমপক্ষে ৩০ মিনিট পূর্বে হলে প্রবেশ করতে হবে। পরীক্ষা শুরু হবে সকাল ১০টা থেকে এবং চলবে দুপুর ১টা পর্যন্ত।

কেন্দ্র সচিব ছাড়া অন্য কেউ মোবাইল ফোন/ ইলেকট্রনিক ডিভাইস নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবে না। শুধু কেন্দ্র সচিব মোবাইল ফোন ব্যাবহার করতে পারবেন (তবে ছবি তোলা যায় না এমন ফোন)।

নীলফামারীর ডোমারে কোদালের কোপে ভাতিজার হাতে চাচা খুন

মোঃ রাকিবুল হাসান, ডোমার প্রতিনিধিঃ নীলফামারী জেলার ডোমারে কোদালের কোপে ভাতিজার হাতে চাচা খুন হয়েছে।‌ গত ২৩/০৪/২০২৩ ইং তারিখ নীলফামারী জেলার ডোমার থানার, ১ নং ভোগডাবুরী ইউনিয়ন পরিষদের, ২ নং ওয়ার্ডের শিমুলতলী গ্রামে আনুমানিক বিকাল ৫ ঘটিকায় এই ঘটনা ঘটেছে। নিহত ব্যক্তির নাম মোঃ রফিকুল, তিনি অত্র গ্রামেরই মৃত লুতফর রহমানের ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জমিজমা বিরোধে তার ভাতিজা সাথে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে কোদালের পেছনের লোহার অংশ দিয়ে মাথায় সজরে আঘাত করলে রফিকুল মারা জান। মৃত ব্যক্তির ভাতিজা মোঃ জাকারিয়া জানান মারামারির সময় তার মৃত চাচার বাড়িতে তার চাচার ভাই রমজান তার ছেলে মনির ও তার সাথে আরও কয়েকজন মিলে তাদের বাড়িতে হামলা করে। ঘটনার সময়ে হামলাকারীরা লাঠি, দা, ছুরি, কোদাল নিয়ে হামলা চালায়। এক পর্যায়ে তারা তার মৃত চাচা রফিকুল কে, তার চাচার ই আপন ভাতিজা কোদালের পেছনের লোহার অংশ দিয়ে মাথায় কোপ দেয় সেই কোপেই রফিকুল মারা জান বলে জানান। তাকে বাচাতে গেলে জাকারিয়ার বাবাও গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন।

শ্রীমঙ্গলে আনারসের ফলন আশানুরূপ, সংরক্ষণে শঙ্কা!

তিমির বনিক, মৌলভীবাজার প্রতিনিধি: মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে আনারসের ফলন ভালো হলেও সংরক্ষণে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। চা অধ্যুষিত, পর্যটন নগরী মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে চায়ের পাশাপাশি আনারসের খ্যাতিও রয়েছে দেশজুড়ে সুনামের সাথে। জেলার চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন জায়গায় সারা বছরই কমবেশি এই আনারস পৌঁছে যায়। দেশজোড়ে খ্যাতির সাথে এই আনারসের এবার বাম্পার ফলন হয়েছে। কিন্তু চাষিরা হিমাগার না থাকায় সংরক্ষণের অভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বলে জানিয়েছেন চাষি ও কৃষি বিভাগ অধিদপ্তর।

জানা যায়, দেশে মূলত সিলেট, মৌলভীবাজার, টাঙ্গাইল, চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রামে ব্যাপক আকারে আনারস চাষ হয়। শ্রীমঙ্গলে উৎপাদিত আনারস দেশখ্যাত। রসে টইটুম্বুর সুস্বাদু এ কারণে দেশের দূর দূরান্তে আনারসের চাহিদা রয়েছে ব্যাপক আকারে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রের বরাত দিয়ে জানা যায়, ষাটের দশক থেকে শ্রীমঙ্গলের পাহাড়ি উঁচু-নিচু টিলায় আনারস চাষ শুরু হয়। এখানকার উষ্ণ ও আদ্র জলবায়ু আনারস চাষের জন্য খুবই উপযোগী। উপজেলার মোহাজেরাবাদ, বিষামণি, হোসেনাবাদ, বালিশিরা, ডলুছড়া, সাতগাঁও, নন্দরানী ও মাইজদীসহ বিভিন্ন পাহাড়ি এলাকার প্রায় ৩শত ১০ হেক্টর জমিতে এবার আনারসের চাষ হয়েছে।
আনারস চাষিরা অভিযোগ করে জানান, আনারস সংরক্ষণের ব্যবস্থা না থাকায় পঁচনশীল এ ফল যখন একসঙ্গে পাকতে শুরু করে তখন কৃষকদের নাম মাত্র মূল্যে অনেক সময় এ ফল বিক্রি করে দিতে হয়।
চাষিরা আরও জানান, নানা প্রতিকূলতার কারণে এমনিতেই দিন দিন আনারস চাষ কমে যাচ্ছে। আনারসের পরিবর্তে চাষিরা এখন লেবু চাষের দিকে বেশি ঝুঁকে পড়ছেন। এছাড়াও অনেক আনারস সংরক্ষণের অভাবে পঁচে নষ্ট হয়। আনারস সংরক্ষণের জন্য শ্রীমঙ্গলে একটি হিমাগার স্থাপন জরুরি। জমির উব্রতা হ্রাস, সার ও চারার দাম বৃদ্ধি, শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধিসহ সব মিলিয়ে আনারসের উৎপাদন ব্যয় বেড়েছে অন্যান্য বছরের তুলনায় বেশি বলে বলছেন। তবুও চাষিরা শ্রীমঙ্গলের ঐতিহ্যবাহী আনারসের আবাদ ধরে রাখার চেষ্টা করছেন।
উপজেলার বিষামণি এলাকার আনারস বাগান মালিক বিল্লাল মিয়া বলেন, এবার আমার বাগানে আনারসের ফলন ভালো হওয়ায় একটু আগেই আনারসগুলো উত্তোলন করে বিক্রি করা শুরু করেছি। কিন্তু যখন আনারস একসঙ্গে পাকতে শুরু করে তখন সংরক্ষণের অভাবে অনেক আনারস পঁচে নষ্ট হয়ে যায়।
বেগুনবাড়ী এলাকার আনারস বাগান মালিক ইরেশ পাল জানান, আগাম বৃষ্টি হওয়াতে এবার আনারসের ফলন খুব ভালো হয়েছে। বৃষ্টির পানি পাওযায় আনারসের ফলন ভালো হওয়াতে আমরা চাষিরা অনেক খুশি। তবে আনারস সংরক্ষণের জন্য একটি হিমাগারের জরুরি ভাবে প্রয়োজন।
এ বিষয়ে শ্রীমঙ্গল উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা উজ্জল সূত্রধর বলেন, অনেক কৃষক আমাদের কাছে অভিযোগ করেছেন যে, আনারস পঁচে নষ্ট হয়ে তারা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন। আনারস সংরক্ষণের জন্য শ্রীমঙ্গলে একটি হিমাগার স্থাপন জরুরি। কৃষকদের আমরা বলেছি, শ্রীমঙ্গল উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর থেকে মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠিয়েছি শ্রীমঙ্গলে একটি হিমাগার স্থাপনের জন্য।
শ্রীমঙ্গলে এবার ৩ শত ১০ হেক্টর জমিতে হানি কুইন ও জায়ান্ট কিউ দুই ধরনের আনারসের চাষ বেশি হয়েছে। আনারসের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য চাষিদের বিভিন্ন ধরনের সহযোগিতা ও প্রশিক্ষণ কৃষি অফিস থেকে দেওয়া হয়েছে বলেও তিনি জানান।

শার্শায় মোটরসাইকেলের ধাক্কায় এ্যাডভোকেট মাহবুবুর হাসান নিহত

জহিরুল ইসলাম, যশোর জেলা প্রতিনিধি: যশোর জেলার শার্শা উপজেলায় মোটরসাইকেলের ধাক্কায় পথচারী এ্যাডভোকেট মাহবুবুর হাসান (৫০) নামে একজন নিহত হয়েছে। রবিবার (২৩ এপ্রিল) সন্ধ্যায় শার্শা উপজেলার শ্যামলাগছী নামক স্থানে এ দূর্ঘটনা ঘটে। নিহত মাহবুবুর হোসেন শার্শা উপজেলার দক্ষিণ বুরুজ বাগান গ্রামের হিমে মোড়লের ছেলে।

হাসপাতাল ও নিতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, সন্ধ্যায় প্রয়োজনীয় কাজে শার্শার শ্যামলাগাছীতে যান এ্যাডভোকেট মাহবুবুর হাসান। তখন হাইওয়ে সড়ক পার হওয়ার সময় দ্রুতগতীর একটি মোটরসাইকেল তাকে ধাক্কা দিলে তিনি পড়ে গিয়ে মাথায় গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হন। এসময় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত মাহবুবুর হাসান ঢাকা জজ কোর্টে এ্যাডভোকেট হিসাবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।

নিহতের বড় ভাই মনিরুজ্জামান সোনা জানান, ঈদের ছুটিতে ভাই বাড়িতে এসেছিলেন। নিজ কাজে সন্ধ্যায় শ্যামলাগাছী গিয়েছিলেন। পরে আমরা তার মৃত্যুর খবর শুণতে পাই। এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের মাঝে শোকের ছায়া বিরাজ করেছে।

শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক লক্ষিনদর বলেন, সন্ধ্যায় সড়ক দুর্ঘটনায় মারাত্মক আহত অবস্থায় মাহবুবুর হাসান নামে একজনকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসার সময় প্রতিমধ্যে তার মৃত্যু হয়।

গৃহকর্মী আত্মহত্যা প্ররোচনা মামলায় ইউপি সদস্যসহ ৭জন শ্রীঘরে

তিমির বনিক, মৌলভীবাজার প্রতিনিধি: মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় এক গৃহকর্মী আত্মহত্যা প্ররোচনা মামলায় উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নের প্যানেল-চেয়ারম্যান ও ইউনিয়নের ৬নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নূর আহমদ চৌধুরী বুলবুল সহ তাঁর পরিবারের ৭জনকে কারাগারে প্রেরণ করেছেন আদালত। সোমবার (২৪এপ্রিল) মৌলভীবাজারের অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালত-১ এ মামলার শুনানী শেষে নূর আহমদ চৌধুরী বুলবুল সহ ৭আসামীকে  কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন আদালত। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আসামী পক্ষের আইনজীবি এ্যাডভোকেট গিয়াস উদ্দিন আহমদ।

জানা গেছে, ২০২১ সালের ২৪ আগস্ট মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নের ভূইগাঁও গ্রামের বাসিন্দা ও বর্তমান প্যানেল-চেয়ারম্যান নূর আহমদ চৌধুরী বুলবুলের বাড়ি থেকে একই এলাকার বাসিন্দা মৃত জামাল মিয়ার মেয়ে ও স্থানীয় কানিহাটি উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্রী তাসলিমা বেগম রায়না (১৫) নামে এক গৃহকর্মীর গলায় ফাঁস দেওয়া লাশ উদ্ধার করে কুলাউড়া থানা পুলিশ। গৃহকর্মী রায়না নূর আহমদ চৌধুরী বুলবুলের বাড়িতে কাজ করতো। বাড়িতে কাজ করার সুবাদে নূর আহমদ চৌধুরীসহ তাঁর পরিবারের সদস্যরা গৃহকর্মী তাসলিমার ওপর বিভিন্নভাবে শারীরিক ও মানসিক চাপ প্রয়োগ করতেন। ঘটনার দিন দুপুরে নূর আহমদ চৌধুরী বুলবুলের বাড়ির সকল সদস্যদের অগোচরে একটি কক্ষের বাথরুমে ঢুকে উড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে তাসলিমা আত্মহত্যা করে। পরবর্তীতে কুলাউড়া থানা পুলিশ গৃহকর্মীর লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে। এ ঘটনায় গৃহকর্মীর ভাই সালমান মিয়া বাদী হয়ে প্রথমে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করে।

পরবর্তীতে ২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর নূর আহমদ চৌধুরী বুলবুল সহ তাঁর ৫ ভাই ও ছেলেকে অভিযুক্ত করে নারী ও শিশু নির্যাতন আদালতে একটি ধর্ষণ ও হত্যা মামলা (১২৫/২০২১) দায়ের করেন ভিকটিমের ভাই সালমান মিয়া। মামলার অন্য আসামীরা হলেন- নূর আহমদ চৌধুরী বুলবুলের ছেলে ইফতেফার আহমদ চৌধুরী মাহি, ভাই ফয়ছল আহমদ চৌধুরী, কবির আহমদ চৌধুরী হারুন, শহিদ আহমদ চৌধুরী আতিক, তোফায়েল আহমদ চৌধুরী, গুলজার আহমদ চৌধুরী। পরবর্তীতে এই মামলাটি তদন্ত করেন সিআইডি। তদন্ত শেষে ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন মৌলভীবাজারের সিআইডির এসআই মোঃ শায়েক আহমেদ।

এরপর আসামীদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করলে আসামীরা উচ্চ আদালত থেকে ৬ সপ্তাহের আগাম জামিন নেন। কিন্তু জামিনের মেয়াদ ছিল ২৪ এপ্রিল তাই ওইদিনই মামলার শুনানী ছিল। সেই শুনানীতে আসামীরা হাজির হলে নূর আহমদ চৌধুরী বুলবুল সহ ৭ আসামীকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন আদালত।

আসামীপক্ষের আইনজীবি গিয়াস উদ্দিন আহমদ জানান, গৃহকর্মী তাসলিমা মৃত্যুর ঘটনায় ভিকটিমের ভাই আদালতে মামলা দায়ের করলে সেটি তদন্ত করে সিআইডি। তদন্ত প্রতিবেদনে আসামীদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও হত্যার কোন সত্যতা পাওয়া যায়নি। তবে আসামী নূর আহমদ চৌধুরী বুলবুল, তাঁর ছেলে ইফতেখার আহমদ চৌধুরী মাহি ও কবির আহমদ চৌধুরী ওই গৃহকর্মীকে ধর্ষণ চেষ্টা ও মানসিক চাপপ্রয়োগ করেছেন। তাই গৃহকর্মী মানসিক চাপ সহ্য না করতে পেরে আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, আসামীরা তাকে জানিয়েছেন মামলার বাদীপক্ষ হতদরিদ্র পরিবারের লোক হওয়ায় স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল বাদীপক্ষকে দিয়ে আসামীদের হুয়রানি করার জন্য আদালতে মামলা করিয়েছেন।