সিএনবিডি ডেস্কঃ আজ ২০ জুন (রবিবার) বিশ্ব বাবা দিবস।  প্রতিবছরের জুন মাসের তৃতীয় রবিবার এই বাবা দিবস পালিত হয়ে থাকে। “বাবা” নামটি খুব ছোট হলেও বাস্তবতায় তার বিশালতা সম্পর্কে ধারণা করা খুব কঠিন। সন্তানকে সামান্য ভালো রাখতে নিজের জীবনটুকুও যিনি দিতে প্রস্তুত থাকেন তার নাম বাবা। সন্তানের মাথার ওপর বটবৃক্ষের মতো হলেন বাবা। যার স্নেহ অবারিত ধারায় শুধু ঝরতেই থাকে। আদর-শাসন আর বিশ্বস্ততার জায়গার নাম বাবা। প্রতিটি বাবার মাধ্যমেই তার সন্তানের জীবনের শুরু যার ঋণ হয়তো পরিমাপ করার ক্ষমতা সন্তানদের হয়তো প্রকৃতি দেয়নি। বাবা মানে নির্ভরতার প্রতীক। আর সেই বাবাদের সম্মান জানাতে বিশ্বজুড়ে পালিত হচ্ছে বাবা দিবস।

ইতিহাস সুত্রে জানা যায়, ১৯০৮ সালে প্রথম বাবা দিবস উদযাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট ভার্জিনিয়ার ফেয়ারমন্টে ৫ জুলাই এই দিবস পালন করা হয়। ১৯৬৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট লিন্ডন বি জনসন জুন মাসের তৃতীয় রোববারকে আনুষ্ঠানিকভাবে বাবা দিবস হিসেবে নির্ধারণ করেন। ১৯৭২ সালে প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন প্রতিবছর জাতীয়ভাবে বাবা দিবস পালনের রীতি চালু করেন।

বিভিন্ন দেশে বিভিন্নভাবে পালিত হয় এ দিবসটি। এই দিনে ছেলেমেয়েরা তাদের বাবাদের কোনো না কোনো গিফট দিতে খুব পছন্দ করে। আর বাবারাও ছেলেমেয়েদের কাছ থেকে গিফট পেয়ে অভিভূত হন। দিনটিতে বাবাদের নানাভাবে শুভেচ্ছা জানানো বা স্মরণ করা হয়। এখন সময় পাল্টেছে দিবসটিকে ঘিরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও বাবাকে শুভেচ্ছা জানানো হয়। বাবার ছবি শেয়ার দেন অনেকে, মন্তব্য করেন, কবিতা লিখেন, লিখেন স্মৃতিকথা।

বাবা শাশ্বত, চির আপন, চিরন্তন। বাবার তুলনা বাবা নিজেই। হাজারও কথা বলার পরও শেষ হবে না সন্তানের প্রতি, সংসারের প্রতি বাবার অবদানের কথা। ভালো থাকুক বিশ্বের সকল বাবা। প্রতিটি বাবা তার প্রতিটা সন্তানের অন্তরে বেঁচে থাকুক অনেক অনেক ভালবাসা নিয়ে।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *