গত দু’দিন আগে ঈদ ছিল বাংলাদেশে। এই উপলক্ষে লাক ডাউন শিথিল করা হয়েছিল সাত দিনের জন্য। আগামি কাল থেকে আবার লক ডাউন দেওয়া হয়েছে। ঝুকিপুর্ন এলাকাকে সম্পুর্নভাবে বন্ধ ঘোষনা করা হবে। কিন্তু গরুর হাটের স্বাস্থ্যবিধি মানা হয়নি সঠিকভাবে। স্বাস্থ্য দপ্তরের কোন নিয়ন্ত্রন ছিলনা গরুর হাটে। দেশের প্রত্যান্ত অঞ্চল থেকে গরু ব্যবসায়ীরা পশু বিক্রির উপর বেশী গুরত্ব দিয়েছে স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করে। হাটে ক্রেতার সংখ্যাও কমতি ছিলনা। অর্থ সঙ্কটের কথা বললেও গরু কিনেছে প্রতিযোগীতা করে। অন লাইনেও অনেক গরু বিক্রি হয়েছে। এগ্রো ফার্মগুলি অন লাইনে গরু/ ছাগল বিক্রি করে বাড়ীতে পৌছে দিয়েছে। স্বাস্থ্য সচেতন অনেকেই এই পদ্ধতি ব্যবহার করেছে। বেশীর ভাগ বাড়িতেই গরু/ ছাগল রাখতে দেওয়া হয়নি এবং, ঈদের দিন পশু জবাই হয়েছে রাস্তায়। বৃষ্টি হওয়ায় বর্জ পরিস্কার করতে সুবিধা হয়েছে। কিন্তু করোনা সংক্রমনের খবরটি জানা যায়নি। তবে অনেকেই ধারনা করছে এই সাত দিনের শিথিলতা সংক্রমন ছড়িয়েছে। আগে করোনা হলে লোকেরা গোপন রাখত। এখন অনেকেরই মৃত্যু সংবাদ, সংক্রমনের সংবাদ আসছে প্রতিদিন। ১৪ দিনের লক ডাউন ঘরে বন্ধি মানুষকে অসুস্থ্য করে তুলবে আরও। কিন্তু এছাড়া কোন বিকল্প ব্যবস্থাও নেই। ঈদের নামাজ পড়তেও মসজীদে কম গেছে মুসল্লিরা। অনেক বাসার ছাদে সবাই মিলে নামাজ পড়েছে মসজীদের সঙ্গে। মাইকে ইমামের আওয়াজ শুনে নিয়ত করেছে।

ভ্যাকসিন প্রদান উন্নত এবং তড়িৎ হয়েছে। টেলিফোনে এপোয়েন্টমেন্ট পেয়ে যাচ্ছে সকলে। নতুন ভেকসিনও এসেছে আরো। মানুষ আগ্রহী হয়েছে ভ্যাকসিনের প্রতি। কিন্তু হাসপাতালের অবস্থা বদলায়নি। করোনায় আক্রান্ত মুমুর্ষ রোগী হাসপাতালে নেওয়ার বিড়ম্বনাটি বেড়েছে। হাসপাতাল কত্তৃপক্ষ কোন রকম ছাড় না দিয়ে ব্যবসা করছে। অক্সিজেন সাপ্লাই উন্নত হয়েছে। অনেকে আগাম অক্সিজেন ক্রয় করে রেখে দিয়েছে বাড়ীতে। তবে রাস্তার চিত্রটি বদলায়নি। দুই কানে মাস্ক ঝুলিয়ে নাক মূখ উম্মুক্ত রেখে চলার দৃশ্য দেখা যায় রাস্তায়। যারা আক্রান্ত হয়েছে বা যাদের পরিবার আক্রান্ত হয়েছে তারা সচেতন। যারা ভয়াবহতাটি দেখেনি তারা আয়েশী ভাবে চলাচল করছে। এই স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করার ফলাফল হবে ভয়ানক। প্রতিদিন মৃত্যু সংখ্যা বেড়েই চলেছে। একত্রে সাবধান না হলে। সকলে মিলে বিধিনিষেধ মান্য না করলে এই সংক্রমন কমবেনা। দেশের স্বার্থে সকলের স্বার্থে আসুন সবাই মিলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলি। নিজে বাঁচি সকলকে বাঁচতে সহায়তা করি।

আজিজুর রহমান প্রিন্স,

কলামিস্ট, ঢাকা, বাংলাদেশ। 

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *