চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ চমেকের সংঘর্ষের ঘটনায় ১৩ জনকে আসামী করে মামলা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন পাঁচলাইশ থানার ওসি আবুল কাশেম ভূইয়া।চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজর সভাপতি হাবিবুর রহমান বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন তিনি।

মামলায় চবির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বি সুজন, অস্ত্র মামলার আসামী কিছুদিন আগে জামিনে আসা টিনুর সহযোগী সুভাষ মল্লিক সবুজ সহ ১১ জনকে আসামী করে ৭০-৮০ জনকে অজ্ঞাতনামা করে মামলাটি দায়ের করে চমেক ছাত্রলীগের সভাপতি। মামলার অন্যান্য আসামীরা হলেন অভিজিৎ দাশ, মুশফিকুর ইসলাম আরাফ, রিয়াজুল ইসলাম, তৌফিকুর রহমান, সৌমিক বড়ুয়া, আতাউল্লাহ বুখারী, সাদ্দাম হোসেন ইভান, রবিউল রাজু, ইয়াসিন আওরাজ ভূইয়া রনক, মোহাম্মদ হানিফ, জিয়াউদ্দিন আরমান।

এর আগে গত মঙ্গলবার ফজলে সুজনের নেতৃত্ব একদল বহিরাগত চমেক ক্যাস্পাসে হামলা করে। এতে প্রথমে কোভিড রোগী দের সেবা দান কারি ডাক্তার রানা, পরে ইন্টার্ন ডাক্তার মামলার বাদী হাবিবুর রহমান সহ বেশ কজন কে গুরুতর আহত করে। হামলাকারীরা প্রথমে রানার পথ অবরোধ করে হামলা করে। এসময় তারা রানার ফোন মানিব্যাগ সহ বেশ কিছু জরুরি ডকুমেন্টস কেড়ে নেই বলে জানা গেছে। পরে তারা চমেকে প্রবেশ করে ইন্টার্ন ডাক্তার হাবিব ওসমান সহ বেশ কয়েকজন কে আহত করে। হামলাকারীরা বহিরাগত কিছু সন্ত্রাসী সহ চমেকের হোস্টেলে ভাঙচুর ও হামলা করে। ইন্টার্ন ডাক্তার হাবিবের উপর হামলা করলে এতে ক্ষোভ প্রকাশ করে ইন্টার্ন ডাক্তার এসোসিয়েশন। এর প্রতিবাদে বুধবার থেকে ইন্টার্ন ডাক্তার এসোসিয়েশন কর্মবিরতি পালন করছে।

উল্লেখ্য ছাত্রদের অধিকার আদায়ে চমেক ছাত্রলীগের হাবিব-শিমুল পরিষদ সব সময় সচেতন থাকলেও কিছুদিন যাবত পথভ্রষ্ট কিছু ছাত্র বহিরাগত নিয়ে গিয়ে ক্ষমতার মহড়া সহ চমেকের ছাত্রদের বিভিন্ন ভাবে হেনস্তা করে চমেকের শান্ত পরিবেশ নষ্ট করার পায়তারা করছে বলে অভিমত চমেকের শিক্ষার্থীদের।

চমেকের ঘটনায় ইতোমধ্যে নগর আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাবউদ্দিন চৌধুরী সাধারন সম্পাদক আ.জ.ম নাছির উদ্দিন নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে এবং জড়িত দের শাস্তি দাবি করেন।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *