চামড়া বাংলাদেশের অন্যতম রপ্তানী সম্পদ। আগে শুধু ব্লু চামড়া রপ্তানী হত। এখন ফিনিশড চামড়াও রপ্তানী হয় বিদেশে। দেশে এখন চামড়া শিল্পও গড়ে উঠেছে। চামড়ার তৈরি পন্য বিদেশে রপ্তানী হচ্ছে প্রচুর। এই চামড়ার সরবরহ পুরন করে কোরবানীর পশু। একসঙ্গে এত চামড়া সংগ্রহন সারা বছরেও সম্ভব নয়। টেনারীজ গুলি কোরবানীর ঈদে চামড়া ক্রয়ের জন্য ব্যংক থেকে আর্থিক সুবিধা পায়। ক্ষুদ্র ব্যবিসায়ীরা অলীগলী ঘুরে চামড়া সংগ্রহ করে বিক্রি করে টেনারী মালীকদের কাছে। কয়েক বছর ধরেই টেনারীর মালীকরা চামড়ার মুল্য নির্ধারন করে দিয়েছে। স্বল্প মূল্যে চামড়া ক্রয় করে মওজুত করে রাখে। বিগত দুই বছর ধরে সিন্ডিকেট করে চামড়া কেনাও বন্ধ করে দিয়েছে। কিনলেও স্বল্প মূল্য দিয়ে ঠকিয়েছে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের। চামড়া বিক্রি করতে না পেরে মাটিতে পুতে দিয়েছে। পুজি হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছে বহু ব্যবসায়ীরা। সিন্ডিকেটের কারনে এবার ঈদেও চামড়ার মূল্য পায়নি ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা।

দেশের এই রপ্তানী শিল্পটি রক্ষায় সরকারের কোন নীতিমালা নেই। নিয়ন্ত্রনহীন শিল্পটি ব্যক্তির নিয়ন্ত্রনে চলে গেছে। টেনারীজ গুলি নিজেরাই চামড়া ক্রয়ের নীতি প্রনয়ন করে বাজার নিয়ন্ত্রন করছে অধিক মুনাফার জন্য। ফলে বহু চামড়া বিনষ্ট হওয়া ছাড়াও রাজস্ব হারিয়েছে সরকার। শিল্প মালীকরা ব্যংক লোনের সুবিধা পেলেও ঠকেছে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। জাতীয় সম্পদ সংরক্ষন করা সরকারের দায়িত্ব। জাতীয় সম্পদ মাটিতে পুতে দেওয়া অপরাধ। এ বিষয়ে সুস্পষ্ট নীতিমালা প্রয়োজন। নাহয় মজুতদার আর অসৎ ব্যবসায়ীদের হাতে চলে যাবে শিল্পটি। জাতীয় রাজস্ব ব্যহত হবে ব্যপকভাবে। সংশ্লিষ্ঠ মন্ত্রনালয় বিষয়টি গুরত্ব সহকারে বিবেচনা করবেন আশাকিরি।

আজিজুর রহমান প্রিন্স,

কলামিস্ট, ঢাকা, বাংলাদেশ।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *