অলিউর রহমান নয়ন, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ কুড়িগ্রামের চিলমারীতে ত্রাণের গরু,ছাগল ও ঘর দেয়ার নামে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার দায়ে প্রতারক চক্রের দুই জনকে আটক করেছে চিলমারী থানা পুলিশ। গতকাল রাতে অভিযান চালিয়ে উপজেলার রমনা ও কুষ্টারী এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।

আটককৃতরা হলেন রমনা মিস্ত্রিপাড়া এলাকার কায়ছার আলীর ছেলে সেকেন্দার আলী শিপুল (২৫) ও বেলাল পানাতির ছেলে ফজলু পানাতি (৫০)।

জানা গেছে, সেকেন্দার আলী শিপুলের নেতৃত্বে একটি প্রতারক চক্র দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন এলাকায় ত্রাণের গরু,ছাগল, ঘর ও চাকুরী দেয়ার প্রলোভনে সাধারন মানুষের কাছ থেকে গরুর জন্য ৫ হাজার, ছাগলের জন্য ১ হাজার ও ঘরের জন্য ১০ হাজার টাকা করে ৩/৪শ জনের নিকট হতে প্রায় ৪০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। তারা প্রাথমিকভাবে মানুষের বিশ্বাস অর্জনের জন্য কয়েকজন কে গরু, ছাগল, রড-সিমেন্টের তৈরী খুঁটি ও ঢেউটিন দেয় । এক সময় প্রতারনার শিকার ভূক্তভোগীদের চাপে শিপুল আত্নগোপন করে। কয়েকদিন আগে শিপুল বাড়ীতে আসলে পাওনাদাররা ভীড় করতে থাকে। অবস্থা বেগতিক দেখে সন্ধায় বাড়ী থেকে পালিয়ে থানাহাট কুষ্টারী এলাকায় বোনের বাড়ীতে আশ্রয় নেয় শিপুল।সেখানেও শতাধিক পাওনাদার বাড়ী ঘেরাও করে। এসময় পাওনাদাররা চিলমারী মডেল থানায় খবর দিলে পুলিশ শিপুলকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। রাতে শিপুলের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ফজলু পানাতি নামে প্রতারক চক্রের অপর সদস্যকে আটক করে পুলিশ।

এদিকে পুলিশ ফজলু পানাতিকে আটক করায় ফজলু পানাতির স্ত্রী আরফিনা ও শ্যালক মুকুল মিয়া মিলে শিপুলের বাবা কায়ছার আলীকে বাড়ীতে তুলে নিয়ে যান। স্থানীয়রা বিষয়টি ৯৯৯ এ জানালে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে আরফিনা ও মুকুল মিয়াকে আটক করে।

পরে ভুক্তভোগী ওমেদ আলী বাদী হয়ে প্রতারনার মামলা করলে শুক্রবার বিকেলে সেকেন্দার আলী শিপুল ও ফজলুল হক পানাতিকে প্রতারনার মামলায় এবং আরফিনা ও মুকুল মিয়াকে ১৫১ ধারায় কুড়িগ্রাম জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।

চিলমারী মডেল থানার ওসি আনোয়ারুল ইসলাম জানান, গরু, ছাগল ও ঘর দেয়ার নামে প্রতারনা করে ৩/৪শ জনের কাছ থেকে প্রায় ৪০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ায় প্রতারনার মামলায় ২ জনকে এবং ১৫১ ধারায় ২ জনকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *