আজিজুর রহমান প্রিন্স, টরন্টো, কানাডা 

বেশ কিছুদিন ধরে হেফাজতের নেতারা ওয়াজের নামে যে সব বক্তব্য দিচ্ছে তা ভয়ঙ্কর। এরা এত সাহস পাচ্ছে কোথায়? ওয়াজের অনুষ্ঠানে ধর্মের কথা আলোচনা হবে। তা না করে ওয়াজের নামে সন্ত্রাস ছড়াচ্ছে দেশে। মামুনুল আর পিচ্চি রফিক যে সব বক্তব্য দিচ্ছে তা প্রচলিত আইনেই বিচার করা সম্ভব। কিন্তু সরকারের কোন নেতা এদের বিরুদ্ধে মূখ খুলছেনা। সম্প্রতি মমিনুল সোনারগাও রিসর্টে অন্যের স্ত্রীকে নিয়ে রাত্রী যাপন করেছে। ধরাও পরেছে। এই মহিলা যে অন্যের স্ত্রী সে কথা মামুনুল নীজেই স্ত্রীকে বলেছে। পরে বলেছে তার দ্বিতীয় স্ত্রী। অন্যের স্ত্রী কারো দিতীয় স্ত্রী হতে পারে কিভাবে? হয় স্ত্রী নাহয় পরকীয়া। এই ঘটনা চাপা দিতে মমিনুলের পরিবার যে সব ষ্টেটাশ শোস্যাল মিডিয়েতে প্রচার করেছে তা সবই এখন দেশ জুড়ে ভাইরাল হয়ে গেছে।

ধর্মের নাম ব্যবহার করে এরা এখন ধনী বনে গেছে। এরা জাকাত ফেতরাও দেয়না শুধু নেয় আর খায়। বছর জুড়ে এদের ওয়াজ করার বুকিং সেট করা। টাকার পরিমান নীজেরাই বলে দেন। ইসলামের কোথায় ওয়াজ করে টাকা নেওয়ার বিধান আছে? প্রতিটি ভ্রমনে তাদের বহর দেখে মনে হবে যেন ভি আই পি। বিষয়টিকে এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই। ইসলামের মত শান্তির ধর্মকে ক্ষতিগ্রস্থ্য করছে এরা। মামুনুলের নারী কেলেঙ্কারী ধরা পরার পর থেকে অনেককেই ইনিয়েবিনিয়ে মামুনুলের নারী সঙ্গের বৈধতা প্রমানের চেষ্টা চালাচ্ছে। আমি একজন মুসলমান হিসাবে এই ঘটনায় লজ্জা পাচ্ছি।

হুজুররা মনে করেন তারা ছাড়া আর কেউ ধর্মের কিচ্ছু জানেনা। হুজুরদের এই ধারনাটি ভুল। যদি বলি যারা সত্যিকার আলেম তারা চুপ করে রয়েছেন কারন সব জেনে তারাও এখন লজ্জিত। ইসলামের নামে রাজনীতি করার অনুমুতি আছে এবং ইসলাম একটি পরিপুর্ন জীবন ব্যবস্থা। কিন্তু খোদ সৌদি আরবেও তা সম্ভব হয়নি। এখন যারা চিৎকার দিয়ে বলেন ” আমি সংবিধান মানিনা। রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রী মানি না” তারা কোন আইন মানেন? তারা যদি ইসলামের শরিয়া আইন মানেন তাহলে মামুনুলকে অর্ধেক কবরে পুতে পাথর ছুড়ে হত্যা করতে হবে। একটি নয় একাধিক নারী সঙ্গের অপরাধে তার বিচার কোন আইনে করতে চান। পিচ্চি রফিকের ফোনে নারীদের নগ্ন ছবি দেখে তার কি বিচার হওয়া উচিত। আমি আমাদের শিক্ষিত আলেম সমাজের কাছেই প্রশ্ন রাখতে চাই।

দেশে লক্ষ লক্ষ শিক্ষিত পণ্ডিত রয়েছেন, বলেন বিস্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা রয়েছেন। ডাক্তার প্রকৌশলী বিজ্ঞানি চিন্তাবিদরা রয়েছেন। এতসব বিদগ্ধ মানুশ রয়েছেন যাদের নিরলস প্রচেষ্টার ফসল আজকের বাংলাদেশ। অথচ মমিনুল হুংকার দিয়ে বলে আমরা মধ্য আয়ের দেশ হতে চাইনা, আমারা নারীর ইজ্জত রক্ষা করতে চাই। করেছে অন্যের স্ত্রীর ইজ্জত রক্ষা করতে দিতীয় স্ত্রীর স্বিকৃতি দিয়েছে। দেশে এখন লক ডাউন চলছে। করোনার দিতীয় সংক্রমণ এখন ভয়ংকর রূপ নিয়েছে। বি এন পি জামাত মিলে হেফাজতকে ব্যবহার করছে দেশে কোন অঘটন ঘটানোর জন্য। তাই দেশ ভাল নেই।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *