মোঃ আমিন আহমেদঃ নারায়ণগঞ্জের দুই জঙ্গি আস্তানায় অভিযানের আগে গ্রেপ্তার হওয়া দুই জঙ্গি আলাদা দুটি স্লিপার সেলে কাজ করতো। তাদের মধ্যে কোনো যোগসাজশ ছিল না। নব্য জেএমবির আমিরের নির্দেশে আলাদাভাবে কাজ করতো তারা। তাদের দশ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে। রিমান্ডে নিয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

গতকাল সোমবার (১২ জুলাই) ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাল ক্রাইম ইউনিট-সিটিটিসির প্রধান মো. আসাদুজ্জামান।

এর আগে রোববার রাতে নারায়ণগঞ্জে দুটি পৃথক আস্তানায় অভিযান চালায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট। সেখান থেকে ৩টি শক্তিশালী আইইডি এবং বিপুল পরিমাণ বোমা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।

সিটিটিসি প্রধান জানান, রোববার বিকালে যাত্রাবাড়ী থেকে আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে ডেভিড কিলার এবং রাতে কেরানীগঞ্জ থেকে কাউসার হোসেন ওরফে মেজর ওসামাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের দেওয়া তথ্যে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার ও বন্দর থানায় অভিযান চালিয়ে আইইডি ও বোমা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয় এবং তিনটি আইইডি নিষ্ক্রিয় করা হয়। গ্রেফতারকৃত দুজন বোমা তৈরির কারিগর ও প্রশিক্ষক। দুজন জেএমবির গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকলেও তারা স্লিপার সেল হিসেবে আমিরের অধীনে কাজ করছে।

সিটিটিসি প্রধান ও ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান বলেন, দুই বাড়িতে বানানো আইইডি দিয়ে পুলিশের উপর হামলার পরিকল্পনা ছিল। এর আগে গত ১৭ মে নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকায় ট্রাফিক পুলিশ বক্সে যে বোমাটি রাখা হয়েছিল সেটি গ্রেপ্তারকৃত মামুনের আস্তানায় তৈরি করে তার এক সহযোগীর মাধ্যমে নারায়ণগঞ্জে নিয়ে আসা হয়েছিলো।

সিটিটিসি প্রধান জানান, মো. কাউসার হোসেন ওরফে মেজর ওসামা জানায় সে দীর্ঘদিন থেকে নব্য জেএমবির সামরিক শাখার প্রশিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিল। এরই ধারাবাহিকতায় সে ওই সংগঠনের সামরিক শাখার অন্যান্য সদস্যদের সাথে অনলাইনে ও অফলাইনে যোগাযোগ রক্ষা করে বোমা তৈরির প্রশিক্ষণ দিত। বাংলাদেশের নব্য জেএমবির আমীর মাহাদী হাসান ওরফে আবু আব্বাস আল বাঙ্গালীর সাথে সে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতো বলে জানায়।

গ্রেপ্তার জঙ্গিদের পরিকল্পনা কি ছিল এমন প্রশ্নের জবাবে সিটিটিসি প্রধান বলেন, আপনারা জানেন ঈদের পর পর গত ১৭ মে তারা পুলিশ বক্সে বোমা রেখে এসেছিল। ‌তাদের লক্ষ্য ছিল এ ধরনের বিস্ফোরকের মাধ্যমে তাদের যে টার্গেট ছিল সেখানে হামলা করা। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ছিল তাদের অন্যতম টার্গেট।

কলকাতায় তিন বাংলাদেশি জঙ্গিকে গ্রেপ্তারের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আটকের তথ্য পেয়েছি। আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এ বিষয়ে যোগাযোগ করব!

 

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *