বৃহস্পতিবার, ০৮ জুন ২০২৩, ০৬:৪৩ অপরাহ্ন

প্রেমের টানে ঘর ছাড়লেন ধামরাইয়ের আরেক নারী ইউপি সদস্য

মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান
  • আপডেট টাইম: বৃহস্পতিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২১
  • ২৫৪ বার পাঠিত
প্রেমের টানে ঘর ছাড়লেন ধামরাইয়ের আরেক নারী ইউপি সদস্য

সিএনবিডি নিউজ ডেস্ক : ঢাকার ধামরাইয়ের সুয়াপুর ইউনিয়ন পরিষদের দুই বারের নির্বাচিত সংরক্ষিত নারী সদস্য সীমা আক্তার সুমি প্রেমের টানে স্বামীর ঘর ছাড়লেন।

এর আগে একই ইউনিয়ন পরিষদের নারী ইউপি সদস্য হামিদা আক্তার গুদি ও  প্রিয়শী আক্তার পরকীয়া প্রেমের টানে ঘর ছাড়েন। এ নিয়ে সুয়াপুর ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত নারী আসনের ৩ নারী সদস্য পরকীয়া প্রেমের টানে স্বামী-সন্তান ও সাজানো সংসার ছেড়ে পরকীয়ার কারনে অন্যের সঙ্গে নতুন করে সংসার বাঁধলেন।

স্থানীয় এলাকাবাসী ও  সুমার পারিবারিক সুত্রে জানা যায়, গত ১৮ বছর আগে সুয়াপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চকিদার মো. আনোয়ার হোসেন পোশাক শ্রমিক সীমা আক্তার সুমিকে দ্বিতীয় বিয়ের পিঁড়িতে বসেন। এরপর ওই নারী পোশাক শ্রমিক ২০১১ সালে প্রথম ও ২০১৬ সালে দ্বিতীয়বার সুয়াপুর ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্য নির্বাচিত হন।

এদিকে পরবর্তীতে তার স্ত্রীর সঙ্গে অন্য জনপ্রতিনিধির পরকীয়া প্রেমের প্রতিবাদ করতে গিয়ে চাকরি হারান আনোয়ার। পরে তিনি সুয়াপুর বাজারের ব্রিজ পয়েন্টে চায়ের দোকান খুলে ব্যবসা শুরু করেন।

অন্যদিকে সুযোগ বুঝে আনোয়ারের স্ত্রী সোমা আক্তার সুমি সাটুরিয়া থানার নয়াডিঙ্গি এলাকার বিদেশফেরত রাশেদ নামে এক যুবকের সঙ্গে নতুন করে পরকীয়া প্রেমে জড়ান। ঘটনাটি জানাজানি হলে স্ত্রীকে শাসন করেন তার স্বামী। এরই জের ধরে ওই নারী ইউপি সদস্য গত সোমবার রাতে ওই পরকীয়া প্রেমিক রাশেদের হাত ধরে তিন সন্তান ফেলে রেখে স্বামীর ঘর ছাড়েন।

পরের দিন মঙ্গলবার সকালে লোকমারফত স্বামীকে তালাকের নোটিশ পৌঁছে দিয়েছেন বলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভুক্তভোগী চকিদার মো. আনোয়ার হোসেন।

এ ব্যাপারে আনোয়ার হোসেন বলেন,আমি রাস্তা থেকে নিয়ে একজন পোশাক শ্রমিককে বিয়ে করি। এরপর তাকে সংরক্ষিত নারী আসনে ২ মেম্বার বানাই। অথচ বারবার সে বিভিন্নজনের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে। শাসন বারণ করায় অবশেষে তিন সন্তান ফেলে রেখেই সে পরকীয়া প্রেমিক রাশেদের সঙ্গে ঘর ছাড়ল। আবার আমাকে তালাক প্রদানের নোটিশ পৌঁছে দিয়েছে। এর চেয়ে দুঃখ ও লজ্জার আর কি হতে পারে।

অপরদিকে সংরক্ষিত নারী সদস্য সোমা আক্তার সুমি বলেন, জনসেবা করি, মানুষের স্বাধীনতা বলে কিছু একটা আছে; আমার তাও নেই। আমার পূর্বের স্বামী আমার স্বাধীনতাটুকুও কেড়ে নিয়েছিল। কথায় কথায় আমাকে নির্যাতন করত। একজন স্বনামধন্য ইউপি চেয়ারম্যানকে নিয়েও আমাকে দোষারোপ করত। কাজেই এবার বিদেশ ফেরত রাশেদের সঙ্গে ইচ্ছা করেই পরকীয়ায় জড়ায় এবং স্বামীর ঘর ছাড়তে বাধ্য হই। ইতোমধ্যে আমি তাকে তালাকের নোটিশ পৌঁছে দিয়েছি। যার ফলে এখন আমি সম্পূর্ণরূপে স্বাধীন ও মুক্ত মনে করছি।

নিউজটি শেয়ার করুন..

More News Of This Category
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © 2020-2021 CNBD.TV    
IT & Technical Supported By: NXGIT SOFT
themesba-lates1749691102