অলিউর রহমান নয়ন, ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি: কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে পশু জবাই করে বাজারে মাংস বিক্রি করায় স্বাস্থ্য ঝুকিতে রয়েছে সাধারণ মানুষ। দিনের পর দিন যত্রতত্র পশু জবাই করলেও পশু সম্পদ বিভাগ বা স্যানিটারী বিভাগের নজরদারী না থাকায় সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়ছে।

সরেজমিনে উপজেলার বালারহাট বাজারে গেছে, মাছ বাজারের নর্দমার পাশে ছাগল জবাই করে ছাল তুলছেন দুইজন কসাই। পাশেই ছাগলের রক্তগুলো খাচ্ছে একটি কুকুর। নর্দমার মধ্যে ফেলা হচ্ছে পশুর মলমুত্র ও নারিভুড়ি। এভাবেই তারা প্রতিদিন অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ছাগল জবাই করে আসছেন। বাজারে আরকোন মাংসের দোকান না থাকায় স্বাস্থ্য ঝুঁকি থাকা সত্বেও বাধ্য হয়ে ক্রেতারা কিনে খাচ্ছেন এসব মাংস। তাছাড়া পরীক্ষা ছাড়াই রুগ্ন ও কংকালসার পশু জবাইয়েরও অভিযোগ করেছেন অনেক ক্রেতা।

বালারহাট বাজারের কয়েকজন মাংস ক্রেতা জানান, কসাইরা প্রতিদিনই অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ছাগল জবাই করে মাংস বিক্রি করে। বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় আমরা অগত্যা স্বাস্থ্য ঝুঁকি নিয়ে এসব মাংস ক্রয় করছি। এরা কয়েকজন মিলে সিন্ডিকেট করায়
দীর্ঘদিন ধরে মাংসে প্রচুর পরিমান পানি দিয়েও বাড়তি দামে বিক্রি করছে বলে তারা জানান। স্বাস্থ্যসম্মত মাংস বিক্রি নিশ্চিত করতে আধুনিক পশু জবাই কেন্দ্র নির্মান এবং পশু জবাইয়ের আগে প্রতিটি পশুর পরীক্ষার দাবী জানান তারা।

বালারহাট বাজারের মাংস বিক্রেতা মাসুদ রানা বলেন, বাজারে পশু জবাইয়ে নির্ধারিত জায়গা না থাকায় দোকানের সামনেই পশু জবাই করি। আগে পশু জবাইয়ের পুর্বে পরীক্ষার জন্য উপজেলা প্রানী সম্পদ ও উপজেলা স্যানেটারী বিভাগের কর্মকর্তারা আসতো। কিন্তু গত কয়েক মাস থেকে তারা আসেন না।

নাওডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও বালারহাট বাজার কমিটির সভাপতি মুসাব্বের আলী মুসা জানান, বিষয়টি অনেকেই আমার কাছে অভিযোগ করেছে। এ ব্যাপারে জরুরী ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ বিষয়ে ফুলবাড়ী হাসপাতালের স্যানিটারী ইন্সপেক্টর শামছুল আরেফিন জানান, কোন অসুস্থ্য বা রোগাক্রান্ত পশু জবাই করছে কি না সে ব্যাপারে আমরা খুবই তৎপর। তবে কোন মাংস বিক্রেতা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে পশু জবাই করলে তার বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *