আজিজুর রহমান প্রিন্স, টরন্টো, কানাডাঃ অনেকেই মনে করে বাংলা ভাষাটি ভারতেই আধিক্য। উচ্চারন এবং বলাটিও ভিন্ন আমাদের চেয়ে। বড় বড় কবি সাহিত্যিক উপন্যাসিক ভারতেই বেশী। সম্ভবত ৬৫ সালেই প্রথম ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন হয় পাক ভারত যূদ্ধের কারনে। বাংলাদেশে তখন মুসলিম লীগের শাসন। সুযোগ পেয়ে রবীন্দ্রসঙ্গীত প্রচার বন্ধ করে দেওয়া হয় ঢাকার রডিওতে (তখন একটাই রেডিও ষ্টেশন)। বাংলাদেশের শিল্পিরা ( বিশেষ করে ছায়ণট) সংগ্রাম করেছে রবীন্দ্রসঙ্গীতের প্রচার ফিরে পেতে। এখন বাংলাদেশের রবীন্দ্রসনঙ্গীত শিল্পিরা ভারতেও জনপ্রিয়। আশির দশকে ঢাকার নাটক পশ্চিম বঙ্গে জনপ্রিয়তা পায়। সন্ধায় ঢাকা টেলিভিশন (একটাই চ্যানেল তখন) যে নাটক প্রচার হত, পরদিন কোলকাতার বাজারে সেই নাটকের ক্যসেট বিক্রি হত চড়া দামে। আস্তে আস্তে বাংলাদেশী লেখকদের বইও জনপ্রিয়তা পায় কোলকাতার বাজারে। এখন ভারতের লেখকরা ঢাকার বই মেলাতে আসে। ভাষার জন্য জীবন দিয়েছে বাংলাদেশের বাঙালী। একুশে ফেব্রুয়ারীর রাতে এখন পশ্চিম বঙ্গের লোকেরা নগ্ন পায়ে হেঁটে যায় শহীদ মিনারে। বেদীতে দাঁড়িয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করে রাজনীতিবিদ সহ বরেন্য ব্যক্তিরাও।

বাংলাদেশী শিল্পিরা এখন যথেষ্ট জনপ্রিয় কোলকাতায়। সম্প্রতি তৃনমূল কংগ্রেস রাজ্যসভার নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে শ্লোগান দিয়েছে ” জয় বাংলা”। এই ” জয় বাংলা” শ্লোগানটি বঙ্গবন্ধুর দেওয়া। বাংলাদেশে এখন জাতীয় শ্লোগান “জয় বাংলা”। ভারতের জাতীয় শ্লোগান ছিল “বন্দে মা তারাম”। ভারতের বাংলাভাষিরা জয় বাংলা শ্লোগান দিয়ে কি ইঙ্গিত দিল জানিনা। ভাষা আর সংস্কৃতিকে আলাদা করা যায়না। হিন্দু মুসলিম দাঙ্গার কথা আমরা শুনেছি। এবার পশ্চিম বঙ্গের রাজ্যসভার নির্বাচনে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মুসলমান বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছেন। শোনাযায় মুসলমানদের ভোট পেয়েছে মমতার তৃনমূল কংগ্রেস। একি তবে শুধুই ভাষার কারনে?

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *