আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ মিয়ানমারের সেনাবাহিনী বিক্ষোভ বন্ধের আহ্বান জানিয়ে হুঁশিয়ারি জানিয়ে সোমবার বিক্ষোভকারীদের সতর্ক করে সেনাবাহিনী বলেছে, ‘আপনারা বাড়ি চলে যান, না হলে সেনাবাহিনীর মোকাবিলা করতে হবে।’ এই ঘোষণার কিছুক্ষণ আগে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার ইঙ্গিত দেয় রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার মাধ্যম।
ছবিঃ সিএনএন
তবে আজ মঙ্গলবার টানা চতুর্থ দিনেও গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে বিক্ষোভকারীদের ভিড় ও সমাবেশ চলছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে দেশজুড়ে ধর্মঘটের ডাক। আজ সরকার জনসমাবেশে নতুন বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। পাশাপাশি রাজধানী নেপিদো এবং বৃহত্তম শহর ইয়াঙ্গুন সহ সারাদেশের প্রধান শহর ও শহরগুলির জন্য কারফিউ ঘোষণা করেছে। এসব জায়গাতেই বিশাল বিক্ষোভ চলছে।
মঙ্গলবার রয়টার্স জানিয়েছে, দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মান্দলে প্রতিবাদের সময় কমপক্ষে ২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দুটি স্থানীয় গণমাধ্যম সংস্থা গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। যার মধ্যে ডেমোক্র্যাটিক ভয়েস অফ বার্মার একজন সাংবাদিকও ছিলেন। প্রতিবাদকারীদের বিরুদ্ধে পুলিশি সহিংসতার চিত্র প্রদর্শন করার পরে তাদের আটক করা হয়েছিল বলে জানিয়েছে ওই সাংবাদিক।
ছবিঃ সিএনএন
অন্যদিকে, সোমবার সকালেও রাজধানী নেপিদোতে সমবেত হয় লাখ লাখ বিক্ষোভকারী। অন্যান্য শহরেও বিপুল সংখ্যক মানুষ সমবেত হয়ে সেনাশাসনের বিরুদ্ধে শ্লোগান দিয়েছে। দাঙ্গা পুলিশকে জনগণের সঙ্গে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানায় বিক্ষোভকারীরা। এর আগে বিক্ষোভকারীদের ওপর জলকামান নিক্ষেপ করে পুলিশ। ধর্মঘটে যুক্ত হয়েছেন শ্রমিকেরাও। বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার হাজার হাজার বিক্ষোভকারী জড়ো হয় ইয়াঙ্গুন আর মান্দালয় শহরেও।
উল্লেখ্য, গত ১ ফেব্রুয়ারি ভোরে মিয়ানমারের ক্ষমতা দখল করে দেশটির সামরিক বাহিনী। এদিন অভিযান চালিয়ে রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা অং সান সু চি এবং ক্ষমতাসীন দলের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের আটক করা হয়। দেশজুড়ে ঘোষণা করা হয় এক বছরের জরুরি অবস্থা।
অপরদিকে, সেনা অভ্যুত্থানের প্রতিবাদে মিয়ানমারে অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন সু চি সমর্থকরা। এই ডাকে সাড়া দিয়ে গত কয়েক দিন ধরে টানা বিক্ষোভ করছে জনতা। সুত্রঃ পার্সটুডে, সিএনএন।