বিপুল পরিমাণ চোরাই ও ভেজাল চা-পাতা উদ্ধার

বিপুল পরিমাণ চোরাই ও ভেজাল চা-পাতা উদ্ধার

তিমির বনিক, মৌলভীবাজার প্রতিনিধিঃ মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত ১০ ফেব্রুয়ারি বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ১০ টায় শ্রীমঙ্গলের ৪নং সিন্দুরখান ইউপির সিক্কা গ্রামের বাসিন্দা আঃ রহিম মিয়া (৫৫),আব্দুর নুর মিয়া (৬০)সম্পর্কে আপন ভাই তাদের পিতা-মৃত বারেক মিয়া এবং আব্দুল মজিদ মিয়া (৫০) যোগসাজশে একত্রে এ চোরাই ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিলো।

আসামীদ্বয় সিক্কা গ্রামের বাসিন্দা। মৃত-বারেক মিয়ার বসত বাড়িতে বিপুল পরিমাণ চোরাই চা-পাতা মজুদ রয়েছে তথ্যের ভিত্তিতে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ভেজাল চা-পাতা উদ্ধার করে পুলিশ।

স্থানীয় সুত্রের তথ্যে পাওয়া যায় চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে ভেজাল চা পাতা বানিয়ে বিক্রি করে যাচ্ছে,তাদের বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস নেই এলাকাবাসীর।

পুলিশ সুত্রে জানা যায়, ঘটনাস্থলে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে অবৈধ কারবারিরা দৌড়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। তখন আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আব্দুর রহিম মিয়ার বসত ঘর তল্লাশী করে ৪০ বস্তা গ্রীন টি এর গুড়া মিশ্রিত চা পাতা, নুর মিয়ার বসত ঘর তল্লাশী করিয়া ৩৫ বস্তা গ্রীণ টি এর গুড়া মিশ্রিত চা পাতা ও আব্দুল মজিদ মিয়ার বসত ঘর তল্লাশী করে ১২ বস্তা বালু মিশ্রিত ডাস্ট এবং সিডা এর মাধ্যমে তৈরীকৃত চা পাতা উদ্ধার করা হয়।

প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, অবৈধ ভেজাল চা পাতা কারবারিরা শ্রীমঙ্গল থানাধীন বিভিন্ন চা বাগান হতে চা পাতা ,শুকনো চা পাতা ও অন্যান্য গাছের পাতা সংগ্রহ করে তাদের নিজেদের প্রযুক্তির মাধ্যমে শুকিয়ে ঢেকি ও অন্যান্য যন্ত্রপাতির মাধ্যমে অভিনব কায়দায় গুড়া করে কেমিক্যাল জাতীয় অন্যান্য দ্রব্যাদি মিশ্রন করে ভেজাল চা পাতা প্রস্তুত করে  বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করে যাচ্ছিলো।এ ছাড়া ও বিক্রয়ের উদ্দ্যেশে আটক কৃত বিপুল পরিমাণ ভেজাল চা পাতা মজুদ রাখা অবস্থায়  উদ্ধার করা হয়।

এ ব্যাপারে শ্রীমঙ্গল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আন্দুছ ছালিক বলেন,ভেজাল কারবারিদের বিরুদ্ধে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

অভিযানে চৌকস তদন্ত অছি হুমায়ুন কবিরের নেতৃত্বে এসআই আল আমিন, এসআই আলমগীর,এস আই জাকির,এএসআই নজরুল ইসlলামসহ পুলিশের একটি টিম এই অভিযানে অংশগ্রহণ করেন।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *