আজিজুর রহমান প্রিন্স, টরন্টো, কানাডা। 

বি এন পি’র চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া করোনায় আক্রান্ত। শ্বাস কষ্ট নিয়ে হাসপাতালে আই সি ইউ ডি’তে ভর্ত্তি রয়েছেন। ৭৬ বছর বয়ষ্ক প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী দেশের সর্ব্বোচ্চ চিকিৎসা পাবেন এটাই স্বাভাবিক। শারিরিক অসুস্থতার কারনে বি এন পি নেত্রী সাজাপ্রাপ্ত হয়েও নির্বাহী আদেশে নীজ বাসাতে থাকার সুবিধা পেয়েছেন। উন্নত চিকিৎসার জন্য পরিবারের পক্ষ থেকে সরকারের কাছে অনুমুতি চাওয়া হয়েছে। বিভিন্ন আলোচনায় সরকারের নমনীয় অবস্থান প্রকাশ পেয়েছে। বেগম জিয়ার পাসপোর্ট নবায়নেরও আবেদন করা হয়েছে। এসব দেখে মনে হচ্ছে বি এন পি নেত্রী নির্বাহী আদেশে বিদেশে যাওয়ারও অনুমুতি পাবেন মানবিক কারনে। সরকার এই অনুমুতি দিলে জনগনও খুশী হবে। কিন্তু তিনি করোনায় আক্রান্ত এবং কোন করোনা রোগীকে বিমান বহন করবে কিনা! কোন দেশও করোনায় আক্রান্ত রুগীকে সে দেশে যাওয়ার অনুমুতি দিবে কিনা তা নিয়ে কেউ কোন আলোচনা করছেনা। যদি বেগম জিয়াকে করোনা চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমুতি সরকার দেয় তাহলে করোনায় আক্রান্ত অন্য রুগীদেরকেও বিদেশে যাওয়ার অনুমুতি দিবে কিনা পরিস্কার নয়!

আইন সবার জন্য সমান। দেশে এখন বিত্ত্ববান মানুষের সংখ্যা কম নয়। সোবহান পরিবার চার্টার্ড বিমান ভাড়া করে দুবাই চলেগেছে। বি এন পি নেতা মোর্শেদ খান একইভাবে বিদেশ গেছে। দেশের নেতা নেত্রীরা রাজনৈতিক দাবী করেন অনেক কিছুই। এসব দাবী দেশের প্রচলিত আইনের পরিপন্থি কিনা ভাবা উচিৎ। বেগম জিয়া প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এবং অন্যতম বিরোধী দলের নেত্রী হিসাবে চিকৎসার সুযোগ পেতেই পারেন। তবে আইনি জটিলতাটি যেন অগ্রাহ্য করা নাহয়। সাজাপ্রাপ্ত হয়ে দেশে নীজ বাসভবনে থাকা আর করোনায় আক্রান্ত হয়ে বিদেশে যাওয়া এই মুহুর্তে কতটা নিরাপদ বিষয়টি ভেবে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিৎ। তবে দেশের মানুষের সাথে আমিও বেগম জিয়ার সুস্থ্যতা কামনা করছি।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *