সাকিব আল হাসান, রৌমারী(কুড়িগ্রাম) : কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার ব্রহ্মপুত্র নদে কীটনাশক ও গ্যাসের টেবলেট প্রয়োগ কওে মাছ শিকার করছে দৃর্বৃত্তরা। এভাবে নদীতে কীট নাশক প্রয়োগ অব্যাহত থাকলে মাছের পোনা ও জলজ প্রাণী ধ্বংস হয়ে যাওয়ার সম্ভনা দেখা দিয়েছে।
জানা যায়,উপজেলার বন্দবেড় ইউনিয়নের ব্রহ্মপুত্র নদের ফলুয়ারচর, বাইশপাড়া, বাগুয়ারচর, উত্তরবাগুয়ারচর, পশ্চিম পাখিউড়া, ঘুঘুমারী এলাকার বিভিন্ন জাগায় রাতের অন্ধকারে স্থানীয় লোকজন বিষ প্রয়োগ কওে মাছ শিকার করায় নদীতে জাগায় জাগায় মাছ ও জলজ প্রাণী মরে ভেসে উঠেছে। স্থানীয লোকজন মরা মাছ সংগ্রহ করে সকাল থেকে সারাদিন। ফলুয়ারচর নৌকা ঘাট এলাকা থেকে চরঘুঘুমারী এলাকা পযর্ন্ত ব্রহ্মপুত্র নদের পনের কিলোমিটার অংশের বিভিন্ন পয়েন্টে রাতের অন্ধাকারে বিষ প্রয়োগ করে মাছ শিকার করায় দিনে আলোয় বিভিন্ন জায়গায় মরা মাছ ভেসে উঠছে।
বাগুয়ারচর গ্রাম মৎস্যজীবি মজিবর, হাফিজুর, করিম বলেন, আমার বাপ দাদা থেকে মাছ ব্রক্ষপুত্র নদে মাছ মেরে বিক্রি করে সংসার চালাই, নদীতে এখন আর মাছ নই, গ্রামের সব মানুষ নদীতে গ্যাস, বিষ দিয়া মাছ সব মেরে ফেলছে। এখন দিন মজুরি করি। সারাদিন কাজ করে তিনশ টাকা পাই তাই দিয়ে সংসার চালাই।
ঘুঘুমারী গ্রামের রহিম ও জলি মুদ্দিন বলেন, রডেটন গ্যাস, এনটিফার গ্যাস নামের টেবলেট ও বিষ দিয়া নদীতে মাছ মারে। রাতের অন্ধকারে নদীর মধ্যে বিষ প্রয়োগ করে মাছ ধরে। বিষে নদীর সব প্রাণী মরে যাচ্ছে, নদীতে মাছের পোনা সব মরে ভসে উঠছে, হাট-বাজারে মাছ আর পাওয়া যাচ্ছে না ঠিকমত।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা বরুজ্জামান রানা বলেন, গ্যাসের টেবলেট ও বিষ প্রয়োগ করে মাছ শিকারে বিষয়টি জানার পর আমরা মাইকিং করে দিয়েছি, কিটনাশক বিক্রেতা দোকানদারদের কিটনাশক ক্রয় কারীদের নাম ঠিকানা লিপিবদ্ধ করার জন্য বলা হয়েছে। এ ছাড়া গ্যাস দিয়ে মাছ শিকার করে খেলে, মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকিছু নেই, তবে নদীতে গ্যাস দিয়ে মাছ শিকার করলে জলজ প্রাণী মারা যায়। কোন ধরণের বিষ প্রয়োগ করে মাছ শিকার করে তা আমার জানা নাই।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মো. আসাদুজ্জামান বলেন, গ্যাসের টেবলেট ও বিষ প্রয়োগ করে শিকার কৃত মাছ মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। মাছ খাওয়ার সাথে সাথে মানুষের শরীরে বিষক্রীয়া হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। এছাড়াও হজম শক্তি ও কিডনির কর্মক্ষমতা হ্রাস পাবে।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *