সিন্ডিকেট করে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমুল্যের দাম বাড়িয়ে রাতারাতি কোটি কোটি টাকার স্বপ্নে বিভোর হচ্ছে অসাধু কিছু সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা। এজন্য প্রয়োজন নিয়মিত বাজার ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ ও তদারকি করে সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের বাজার স্থিতিশীল করতে বাধ্য করা। রাতারাতি দ্রব্যমুল্যের দাম বৃদ্ধি করে এখনো বহাল তবিয়তে রয়েছে একটি অসাধু বাজার সিন্ডিকেট চক্র।
এখন বাজারে- সয়াবিন তেল-১৩০/১৪০ টাকা, চাল প্রতি কেজি- ৫০/৬০/৭০ টাকা, গরুর মাংস প্রতি কেজি- ৭০০/৭৫০ টাকা,
সবজি যেকোন প্রকার হোক – প্রতি কেজি- ৫০/৬০ টাকা, ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি- ১৩০/১৪০ টাকা। ফলমুল প্রতি কেজি- ২৫০/৩০০ টাকা ইত্যাদি ইত্যাদি।
এসব মুল্যে সাধারণ নিম্নবৃত্ত ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির লোকজনদের কিভাবে পরিবারের খরচ চালাবে ? অনেকে রিকশা, সিএনজি, ভ্যানগাড়ি চালায়, দিন শেষে মালিকের খরচ ও জালানি খরচ বাদে ২০০-৩০০ টাকা ইনকাম করে। এই টাকায় দিয়ে সে বাজার খরচ চালাবে কি করে? আমার প্রশ্ন এখানেই।
আমাদের বাাংলাদেশ-সরকারের মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়-গণ উদ্দেশ্য করে বলছি এসব লিখতে গেলে অনেক ইতিহাস হবে। শেষ হবে না। তাই অল্প করে দেশের সাধারণ জনগনের কষ্টে ব্যথিত হয়ে এসব লিখলাম। এ ব্যাপারগুলো বানিজ্য মন্ত্রী মহোদয়ের দৃষ্টি গোচর হবে কিনা তাও জানি না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনার কাছে অনুরোধ রইলো বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে এ ব্যাপারগুলোতে নজর দিতে আপনার সদয় নির্দেশ দিয়ে দেশ ও জনগণের কষ্ট লাঘব করবেন। আপনার কাছে এর বেশী কিছু চাওয়ার নেই।
আমরা এখন উন্নত দেশগুলোর পাশাপাশি অনেক দিক দিয়ে এগিয়ে গেছি। তবে কিছু অসাধু ব্যক্তি বাংলাদেশ সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে চাচ্ছে। দেশকে নিচের দিকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে। আমি আপনাদের সকলের কাছে বিনীত ভাবে অনুুুুরোধ করে বলছি, আমাদের দেশের বাজার স্থিতিশীল করে আপনারা আমাদের কে,দু-বেলা দু-মুটো খাবার খাওয়ার নিশ্চয়তা টুকু প্রদান করে দিন। বাংলাদেশের-সব ধরনের বাজার থেকে অসাধু সিন্ডিকেট চক্রকে প্রতিহত করুন। এবং এই ধরনের চক্র কে অবিলম্বে আইনের আওতায় আনার জন্য বিশেষ ভাবে সরকারের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি।
ইতি –
মোঃ আমিন আহমেদ
গণমাধ্যম কর্মী, সিলেট।