ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃ মোক (আমাকে) কাইও (কেউ) এ্যাখান (একটা) হুইল চেয়ার দিবেন বাহে ? বাশলি (প্যারালাইসিস) হয়া (হয়ে) দুই বছর থাকি (থেকে) বিছনাত (বিছানায়) পড়ি (পড়ে)। ঘর-বাহির হবার পাং না (পাই না)। যেটে (যেখানে) বসে থোয় (রাখে) স্যাটে (সেখানে) সারাদিন বসি (বসে) থাকোং (থাকি)। এ্যাখান (একটা) হুইল চেয়ার হইলে (হলে) বাকি কয়টা দিন ঘর-বাহির হয়া (হয়ে) আলো-বাতাস খাবার পানুং (পেলাম) হয়। কান্না জড়িত কন্ঠে এ কথাগুলো বললেন, প্যারালাইসিস রোগে আক্রান্ত কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার চন্দ্রখানা কদমতলা গ্রামের মৃত বাহার উদ্দিনের ছেলে কাশেম আলী (৭৫)।

গত দুই বছর আগে প্যারালাইসিস রোগে আক্রান্ত হয়ে তার দুটি পা অচল হয়ে যায়। সেই থেকে বিছানায় পড়ে আছেন। পরিবারের
সদস্যরা ধরাধরি করে বাইরে রেব করে চেয়ারে বসায়ে দিলে সেখানেই সারাদিন কাটে তার। তাই চলাফেরার জন্য একটি হুইল চেয়ারের আকুতি তার। কাশেম আলীর ছেলে চা বিক্রেতা তাজুল ইসলাম জানান, রাস্তার মোড়ে চা বিক্রি করে যা আয় হয় তা দিয়ে কোন রকমে আট সদস্যের পরিবারের খরচ চলে। তার উপর বাবার চিকিৎসা ও ঔষধপত্র। হুইল চেয়ার কেনার সামর্থ আমাদের নাই। তাই সমাজের কোন দানশীল বিত্তবান, মহৎ ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান যদি আমার বাবাকে একটি হুইল চেয়ার দান করতো তাহলে চিরকৃতজ্ঞ থাকতাম।

 

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *