হুমায়ুন কবির, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ প্রেম করে বিয়ে করার কারনে ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈল উপজেলার ভাংবাড়ি গ্রামে জামাই নাসিরুল ইসলাম (২১) কে মধ্যযুগীয় কায়দায় গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্মম নির্যাতনের খবর পাওয়া গেছে। গত ২০ সেপ্টেম্বর সোমবার উপজেলার প্রত্যন্ত ওই গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নাসিরুল ওই গ্রামের খলিলুর রহমানের ছেলে।

ঘটনা ঘটার পর চাপা থাকলেও গত ২৪ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২ টার দিকে গন যোগাযোগ ফেসবুক মাধ্যমে  তার ভিডিওচিত্র প্রকাশ হলে তা নেটে ভাইরাল হয়ে যায়। অনেকেই তা শেয়ার করে অপরাধিদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানায়।

এলাকাবাসি সুত্রে জানা যায়, একই এলাকার করিমুল ইসলামের মেয়ে কেয়ামনি (১৮)র সাথে নাসিরুলের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। দীর্ঘদিন সম্পর্ক চলাকালে গত ৯ সেপ্টেম্বর  দুজনে কোর্টে এফিট এফিট করে গোপনে বিয়ে করে নারায়ণগঞ্জে অবস্থান করে।

এদিকে মেয়ের পরিবার থেকে ছেলের পরিবারকে মেয়েকে ফিরিয়ে দিতে চাপ সৃষ্টি করে এবং বিয়ে মেনে নেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। পরবর্তীতে ছেলের বাবা চাচা এবং মেয়ের বাবা ও ফুপা মিলে ছেলে ও মেয়েকে বাসায় নিয়ে আসে। ছেলে ও মেয়ে নিজ নিজ বাসায় অবস্থান করে। এ অবস্থায় গত ২০ সেপ্টেম্বর নাসিরুল তার শশুর বাড়ির দিকে বেড়াতে গেলে তাকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে গাছের সঙ্গে বেঁধে মধ্য বেধড়ক মারপিট করা হয়।

খবর পেয়ে  পুলিশ গিয়ে ঘটনা স্থল থেকে নাসিরুলকে উদ্ধার করে। তাকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় রাণীশংকৈল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। গত ২২ সেপ্টেম্বর বুধবার রোগিকে আশংকাজনক অবস্থায়ন দিনাজপুর আব্দুর রহিম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

এ নিয়ে নাসিরুলের বাবা খলিলুর রহমান বাদি হয়ে রাণীশংকৈল থানায়  ৪ জনের নামে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এরই প্রেক্ষিতে ২৪ সেপ্টেম্বর শুক্রবার মেয়ের মাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

এ ব্যাপারে থানার ওসি এস এম জাহিদ ইকবাল বলেন, নাসিরুলের বাবার দাযেরকৃত লিখিত এজাহারের প্রেক্ষিতে আজ শুক্রবার মেয়ের মাকে সকাল ১১টায় বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *