রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধিঃ ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকলৈ পৌর শহররে রাজবাড়ি এলাকায় গৃহবধূ মীম (২৩) তার
শ্বশুরবাড়ির লোকজনের হাতে প্রচন্ড নির্যাতনে গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। গত ২০ মে বৃহস্পতিবার রাতে এ ঘটনা ঘটেছে।

আহত গৃহবধূ মীম রাজবাড়ি এলাকার ওবায়দুর রহমানরে (৩৭) স্ত্রী।

জানা গেছে, প্রায় দুই বছর আগে রাণীশংকলৈ পৌর শহরের রাজবাড়ি এলাকার গোলাম রব্বানীর ছেলে ওবায়দুর রহমানের সাথে ঠাকুরগাঁও শিবগঞ্জের হাফিজুল ইসলামের মেয়ে খাদিজাতুল কোবরা মীমের বিয়ে হয়। বিয়ের কিছু দিন পর থেইে
স্বামী স্ত্রী দুজনের মাঝে বিভিন্ন বিষয়ে ভুল বুঝাবুঝি ও যৌতুক নিয়ে দাম্পত্য কলহ শুরু হয়। এ কারনে ওবায়দুর সহ তার পরিবারের লোকজনেরা মীমকে অনেকবার শারীরিক ও মানসিক ভাবে নির্যাতন করে। এ নিয়ে স্থানীয় ভাবে কয়েকবার বিচার শালিস হয়।এক পর্যায়ে ওবায়দুর মীমকে মারধর করে একতরফা তালাক দিলে মীম রাণীশংকৈল থানায় অভিযোগ করেন। সে অভিযোগের প্রেক্ষিতে থানায় বিচার শালিসে ওবায়দুর ভুল স্বীকার করে এবং তার স্ত্রী কে আর নির্যাতন না করার লিখিত অঙ্গীকার দেয়। কিন্তু কিছু দিন পর আবার মীমের উপর  নির্যাতন শুরু হয়।

গত ঈদে ওবায়দুর তার র্কমস্থল থেকে ঈদ করতে বাড়িতে আসে। গত ১৪ মে ঈদ পালন করে ওবায়দুর পরদিন ১৫ মে স্ত্রী মীমকে তার বাবার বারিতে রেখে র্কমস্থলে চলে যায়। গত ২০ মে বিকেলে মীম বাবার বাড়ি থেকে শ্বশুর বাড়িতে এলে ঐ বাড়িতে তালা
লাগানো দেখতে পায়। মীম তার শাশুড়ি ও অন্যদরে কাছে ঘরের চাবি চাইলে তাকে এর মধ্যে তালাক দেওয়া হয়ছে বলে জানানো হয়। তাকে আর ঐ বাড়িতে ঢুকতে দেওয়া হবে না বলওে জানানো হয়। এতে মীম কান্নাকাটি করে ঘরে ঢোকার চেষ্টা করলে শ্বশুর বাড়ির লোকেরা তাকে প্রচন্ড মারধর করে আহত করে।

খবর পেেয় পুলশি ঘটনাস্থলে গিয়ে উপস্থিত হয়। পরে ঐ রাতইে স্থানীয় লোকজন গুরুতর আহত মীমকে রাণীশংকৈল হাসপাতালে ভর্তি করে।

পরদিন ২১ মে সকালে মীমের বাবা মা আত্মীয় স্বজন তাকে হাসপাতালে দেখতে আসে। এ সময় পৌর মেয়র মোস্তাফিজুর রহমান ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা আসেন এবং সাংবাদিকরা এসে তথ্য নেন। এ রিপোর্ট লেখা র্পযন্ত এ নিয়ে থানায় কোন অভিযোগ হয়নি মর্মে ওসি (ওদন্ত) আব্দুল লতিফ শেখ জানান।

 

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *