পুলিশ-হেফাজতে ইসলাম সংঘর্ষের ঘটনায় নেতাকর্মী নিহত ও আহত হওয়ার প্রতিবাদে রোববার (২৮ মার্চ) সারাদেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক দিয়েছে হেফাজেত ইসলাম বাংলাদেশ। একই সাথে শনিবার সারাদেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করবে সংগঠনটি।

তিনি বলেন, ‘আজ দেশের বিভিন্ন স্থানে আমাদের নেতাকর্মীদের উপর হামলা চালানো হয়েছে। চট্টগ্রামে আমাদের সংগঠনের চারজন নিহত হয়েছে। তারই প্রতিবাদে আগামীকাল সারাদেশে বিক্ষোভ সমাবেশ ও রবিবার সারাদেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।’

এর আগে জুমার নামাজের পর দুপুর দুইটায় হাটহাজারী মাদ্রাসা থেকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে শ্লোগান দিতে দিতে একটি মিছিল বের হয়। ওই মিছিলে হাটহাজারীর আরও কয়েকটি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা যোগ দেয়। মিছিলটি হাটহাজারী থানার সামনে এলেই থানার দিকে কিছু শিক্ষার্থী ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এ সময় পুলিশের সাথে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ শুরু হয়। এ ঘটনায় চার জন নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে। এছাড়া পাঁচ পুলিশ সদস্যসহ কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছে। চট্টগ্রাম মেডিকেল পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত এসআই আলাউদ্দিন তালুকদার জানান, নিহতদের মধ্যে তিন জন হাটহাজারী মাদ্রাসার শিক্ষার্থী। তারা হলেন মেরাজুল ইসলাম, রবিউল ইসলাম ও জাহাঙ্গীর আলম। তবে মৃত অপরজনের নাম-পরিচয় এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। গুলিবিদ্ধ হয়েই তারা নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

এদিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে ছুটে যান চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার এসএম রশিদুল হক র‍্যাব-৭ চট্টগ্রামের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

এ বিষয়ে জেলা পুলিশ সুপার এসএম রশিদুল হক গণমাধ্যমকে বলেন, ‘দুপুর দুইটার দিকে হাটজাহারী মাদ্রাসা থেকে একটি মিছিল বের হয়। মিছিল থেকে হাটহাজারী থানায় ভাংচুর করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *