সাকিব আল হাসান, রৌমারী( কুড়িগ্রাম) : কুড়িগ্রামের রৌমারীতে আড়াই মাসেও গ্রেফতার হয়নি ধর্ষণ মামলার আসামি আব্দুল বাছেদ। এদিকে গত আড়াই মাস যাবত পার্শ্ববর্তী গ্রামের  বিভিন্ন বাড়িতে আশ্রয় নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন তিনি।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, বাইটকামারী গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে কাপড় ব্যবসায়ী বাছেদ মিয়া গৃহবধূকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। দু’জনের এই প্রেমের সম্পর্কের কথা অনেকে জানতেন। নির্যাতিতা ওই গৃহবধূর সঙ্গে  প্রথম বিয়ে হয় বাইটকামারী গ্রামের মিজান মিয়ার ছেলে বাচ্চু মিয়ার সঙ্গে। সেখানে সংসার চলাকালীন বাইটকামারী বাজারে জামা কাপড় কেনাকাটা করা হয় বাছেদের দোকানে। সেই সুবাদে হঠাৎ একদিন বিকেলে সুযোগ বুঝে আমার শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে আমাকে আচমকা জাপটে ধরে বাছেদ। এ সময় আমার ভাশুর বাড়িতে এলে আমাকে ছেড়ে দিয়ে পালিয়ে যায় সে। তাকে দ্রুত সটকে পড়তে দেখে আমাকে সন্দেহ করেন তিনি। এই সূত্র ধরে আমাকে তালাক দেয় আমার স্বামী।
এর কিছুদিন পর আমার দ্বিতীয় বিয়ে হয় রৌমারী সদর ইউনিয়নের বাওয়ার গ্রামের সোনাউল্লাহ মিয়ার ছেলে আজগর আলীর সঙ্গে। আজগর আলী ঢাকায় গার্মেন্টে চাকরি করার কারণে বেশির ভাগ সময় আমাকে বাবার বাড়িতে থাকতে হতো। এ অবস্থায় বাছেদ আবার বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে আমার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। আমি তার অসৎ উদ্দেশ্য বুঝতে না পেরে তার ফাঁদে পা দিই। তার পরার্মশ অনুযায়ী প্রথমে আমি আমার স্বামীকে তালাক দিই। পরে সে আমাকে এলাকার বিভিন্ন বাড়িতে নিয়ে আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে দৈহিক সম্পর্ক গড়ে তোলে এবং মোবাইলে আপত্তিকর ছবি ওঠায়। পরে আমি বিয়ের করার জন্য চাপ দিলে আমার কাছ থেকে দামি মোবাইল সেটসহ এক লাখ ৫০ হাজার টাকা দাবি করে। আমি বিভিন্ন সময় আমার গহনা বিক্রি করে তিনটি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল সেট ও এক লাখ ২৫ হাজার টাকা বাছেদকে দিই। এরপরও বাছেদ আমাকে বিয়ে না করে বিভিন্ন টালবাহানা শুরু করে।
এব্যাপারে রৌমারী  থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোন্তাছির বিল্লাহ জানান, পুলিশ আসামি গ্রেফতারে অভিযান চালাচ্ছে। তবে সে পলাতক রয়েছে। আশা করছি খুব তারাতারি তাকে গ্রেফতার করতে পারবো।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *