রোববার (২৮ মার্চ) মাগরিবের নামাজের পর চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদ্রাসা মাঠে এই বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে শিক্ষার্থীরা। পরে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে তারা বিক্ষোভ তুলে নেয়।

জানা গেছে, সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের কওমি মাদরাসাসমূহের সরকার স্বীকৃত বোর্ড ‘আল হাইআতুল উলয়া লিল জামিআতিল কওমিয়া বাংলাদেশ’ এর অধীনে সব ধরনের পরীক্ষা বর্জনের ডাক দিয়েছে দেশের বিভিন্ন কওমী মাদ্রাসার ছাত্ররা।

রোববার (২৮ মার্চ) সন্ধ্যায় কওমি মাদরাসাসমূহের সরকার স্বীকৃত বোর্ড ‘আল হাইআতুল উলয়া লিল জামিআতিল কওমিয়া বাংলাদেশ’ এর অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে আগামী ৩১ মার্চ থেকে দাওরায়ে হাদিসের পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা জানানো হয়। এরপর থেকে বিভিন্ন কওমি মাদ্রাসা থেকে এই পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা আসতে থাকে। চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদ্রাসায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, ইসলামবিদ্বেষী হিন্দুত্ববাদী সরকারের অধীনে কোনো ডিগ্রি তারা নেবে না। স্বীকৃতি নামক সোনার হরিণের তাদের কোনো প্রয়োজন নেই। তারা শহিদ ভাইদের হত্যার বিচার চান। এ সময় তারা বর্তমান সরকারকে তাগুতের সরকার বলে অভিহিত করেন।

এ বিষয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে আন্দোলনকারী এক শিক্ষার্থী চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘যে সরকার আমাদের ভাইদের হত্যা করেছে তাদের অধীনে আমরা কোন পরীক্ষায় অংশ নেবো না। আমরা সরকার স্বীকৃত বোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিতব্য সব পরীক্ষা বর্জনের ডাক দিয়েছি। ইতোমধ্যে আমাদের সাথে সাড়া দিয়ে দেশের বিভিন্ন মাদ্রাসার ছাত্ররাও বর্জন করেছে।’ এজন্য আমরা মাগরিবের পর মাদ্রাসায় বিক্ষোভ করেছি। মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের পক্ষে ড. নুরুল আফসার হুজুর এসে আমাদেরকে জানিয়েছেন আমরা যারা পরীক্ষা দিতে ইচ্ছুক না আর যারা ইচ্ছুক দুই পক্ষকেই স্বাক্ষরসহ দরখাস্ত দিতে। আগামীকাল তারা মিটিং করে সিদ্ধান্ত নেবেন।’

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *